রাজাকারদের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাচাই-বাছাই করে দেখবে। সেখানে অপরাধের ধরণ অনুযায়ী বিচার হবে। রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের পর রবিবার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদব, যুগ্ম সচিব গৌতম ফণিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ওয়ালিদ মাহমুদও এ সময় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাই মূলত দেখবে কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তালিকাভুক্ত রাজাকারদের বিষয়ে তদন্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই তাদের বিচার হবে।
দীর্ঘদিন পর রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ কেন করা হলো এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মসহ সব প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানো প্রয়োজন। আমরা স্বাধীন হয়েছি কীভাবে, আমাদের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতার কথাও আমরা এক সময় বলতে দ্বিধাবোধ করেছি। সেটার অবসান হওয়া প্রয়োজন। রাজাকারের তালিকা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে একটি সুন্দর, শক্তিশালী এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।
বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি বিষয়ে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান এবং নেপালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ পরিবহন আরও সহজীকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নেপাল মালামাল পারাপারের জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।
নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘বাংলাদেশ-নেপালের জনগণ টু জনগণ, সরকার টু সরকারের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এ সম্পর্ক দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে। আজ বিচার ও আইন বিষয়ে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সহযোগিতা প্রয়োজন হলে করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে নেপালে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা চালু হলে উভয় দেশের জনগণ লাভবান হবে।’