আসামে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জেরে হাওড়া-ডিব্রুগড় কামরূপ এক্সপ্রেস, যা ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে ছাড়ার কথা রয়েছে, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বরের দিল্লি-ডিব্রুগড়ের ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসও। এ ছাড়া ১৫ ডিসেম্বরের চেন্নাই-হাওড়া করমন্ডল এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-পুরী রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে।
তিতলাগড়-হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস হাওড়ায় পৌঁছনোর বদলে টাটা নগর পর্যন্ত চলবে রবিবার, ঘোষণা করেছে রেল। পুরী-হাওড়া ধৌলি এক্সপ্রেস খড়গপুরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, রবিবার হাওড়ার বদলে খড়গপুর থেকে তা পুরী রওনা দেবে।
গত দু’দিনের তান্ডবের পর নলহাটি-আজিমগঞ্জ, আজিমগঞ্জ-নিউ ফারাক্কা এবং কৃষ্ণনগর-লালগোলা বিভাগে এখনও ট্রেন চলাচল শুরু করা যায় নি।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত দু’দিন ধরেই অশান্ত রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল। মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা এবং রেল লাইন অবরোধ করে একাধিক ট্রেনে একের পর এক আগুন ধরানো হয়। বিভিন্ন স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়ে ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাসনাবাদ, লালগোলা-কৃষ্ণনগর শাখায় ট্রেন চলেনি। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষের। বহু লোকাল ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইল, বেলডাঙায় টিকিট কাউন্টারে আগুন ধরানোর ফলে প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।