স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে আমরা রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের কোনো তালিকা দেইনি। আমাদের দেওয়া তালিকাটি দালাল আইনের অভিযুক্তদের তালিকা।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দালাল আইনে যারা অভিযুক্ত ও মামলা হয়েছে তাদের তালিকা দিয়েছি। তবে এর সঙ্গে আমরা একটি নোট দিয়েছি। আমাদের কোথাও ভুলভ্রান্তি থাকলে তা দেখা হবে। এই কাজে যারা ভুল করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের আগে তা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাজাকারদের যে তথ্য আছে, সেগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছিল। পরে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি দুরূহ ব্যাপার। দালাল আইনে ১৯৭২ সালে যাদের নামে মামলা হয়েছিল, তদন্ত শুরু হয়েছিল, পরে আবার কেউ কেউ মামলা থেকে প্রত্যাহার হয়েছিল, তাদের আমরা প্রাথমিকভাবে নিয়েছি। আমরা প্রাথমিকভাবে সেই মামলার বিবাদীদের নাম লিস্ট করি। পরে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিই। তবে সেই লিস্টে কিছু মন্তব্য করে দিয়েছি যে, অনেকগুলো মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এ হিসেবে আমরা আমাদের এখান থেকে একটি নোটও দিয়েছিলাম।
অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে তালিকা পেয়েছি, হুবহু তা প্রকাশ করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সে সময়ের সরকারি রেকর্ড দিয়েছে, নতুন তালিকা করেনি।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে সেটিকে রাজাকারের তালিকা বলে উল্লেখ করে। ওই তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের নামও রয়েছে। বিষয়টি প্রকাশে আসার পরই ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।