Logo
শিরোনাম:
নিরাপদে চলাচলের জন্য গাজীপুরের শহরে রেলক্রসিং ফুটওভারব্রীজ,শহরের রাস্থা মেরামতের দাবিতে মানববন্ধন। গাজীপুর অপরাধমুক্ত ও বসবাসযোগ্য শহর গড়তে মতবিনিময় জিএমপি কমিশনার। গাজীপুর সিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমানকে ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার। গাজীপুর বাংলাবাজার এলাকায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন বকেয়া বেতনের দাবিতে ৬০ ঘন্টা পেরিল শ্রমিক অবরোধ। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ন্যাশনাল পার্ক এ তিন নাম্বার গেটের সামনে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকগণ। গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে স্কুল বসত ঘর পুড়ে ছাই। কক্সবাজার হোটেল থেকে যুবলীগ নেতা এসএম আলমগীর গ্রেফতার। ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় ৩১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমাস মোল্লা আটক। গাজীপুর চৌরাস্তা বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার এর ভেজাল মেয়াদউত্তীর্ণ খাবার এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

হুজুর আর মারবেন না, মরে যাবো, শেষ পর্যন্ত মেরে ফেললো

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় মাদ্রাসায় শিক্ষকের বর্বর নির্যাতনে এক ছাত্র নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

গত রোববার রাতে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাওহিদুল ইসলাম (১০) নামে ওই ছাত্র মারা যায়। সে ভালুকার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের কয়েস মিয়ার ছেলে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আবাসিক ছাত্রদের মাদ্রাসায় ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামিরদিয়া মাদ্রাসায় হেফজ শ্রেণির ছাত্র ছিল তাওহিদুল ইসলাম। সম্প্রতি পড়া মুখস্থ করতে না পারায় মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাওহিদুলের পাজরের হাড় ও একটি পা ভেঙে দেন। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন ওই শিক্ষক।

 

বিষয়টি গোপন রেখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন আগে তাওহিদুলকে বাড়িতে রেখে আসে। সেই সময় তারা জানান তাওহিদুল খেলতে গিয়ে পড়ে আহ্ত হয়েছে। কিন্তু পরে তাওহিদ তার বাবা-মা ও দাদীর কাছে ঘটনা খুলে বলে। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রথমে ভালুকা পরে চুরখাই কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৩ মার্চ তাকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তাওহিদের মা হাসনা হেনা বলেন, তাওহিদুল ১৮ পারা কোরআন মুখস্থ করেছিল, কিন্তু মাদ্রাসা থেকে ছেলের লাশ বাড়িতে আসবে কখনও ভাবেননি তিনি। তিনি জানান, তাওহিদুল মাঝেমধ্যে স্বপ্নে বলতো ‘হুজুর আর মারবেন না, আমি মরে যাবো, আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন।’মাদ্রাসায় গিয়ে তাওহিদের কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে পড়া না পারার কারণে হাফেজ আমিনুল ইসলাম মোটা একটা লাঠি দিয়ে তাওহিদকে পিটিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না, সোমবার সকালে জানতে পেরেছেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন-অর-রশীদ জানান, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনামুল হক নামের এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost
error: এই সাইটের নিউজ কপি করা বেআইনী !!