মাতৃবাংলা ২৪ টিভির ডেস্ক রিপোর্ট:-
মোমেলা বেগম (৩৬) থাকেন টঙ্গীর আলোচিত ব্যাংক মাঠ বস্তিতে। পোশাক আর চলাফেরা দেখে মনে হবে না তিনি টঙ্গীতে তিনটি আলিশান ভবনের মালিক। দীর্ঘ এক যুগ ধরে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে একাধিক মামলায় জেল খাটার পরও ছাড়তে পারেনি এই লাভজনক মাদক ব্যবসা। মাদক ব্যবসা করে গড়ে তুলেছেন অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ এবং স্থানীয় প্রসাশনের মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকায়ও তার নাম রয়েছে অন্যতম স্থানে।
মাদক বিক্রির অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছেন তিনটি বাড়ি। এরমধ্যে রয়েছে টঙ্গীর ৪৭নং ওয়ার্ডের মরকুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন কুদ্দুস খলিফা রোডে জাহিদ হাসান ভিলা নামে একটি বহুতল বিলাসহুল বাড়ি। একই ওয়ার্ডের শিলমুন পূর্ব পাড়া যুগীবাড়ী রোডে রয়েছে মাতৃকোল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির স্বপন মাস্টারের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন অর্ধকোটি টাকার একটি বাড়ি। পূবাইলের করমতলা পূর্ব পাড়া আবাসিক এলাকায় পৌনে ৪ কাঠা জমির ওপর একটি আধাপাকা বাড়ি রয়েছে তার। ব্যাংক মাঠ বস্তিতে একাধিক আধাপাকা ঘর রয়েছে, যার মূল্য কোটি টাকার উপরে। স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে কিনে দিয়েছেন চারটি মিনিট্রাক ও মেয়ের জামাই পুলিশের কথিত সোর্স হৃদয়কে কিনে দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেটকার। এছাড়াও টঙ্গীর গাজীপুর এলাকায় রয়েছে নামে-বেনামে কোটি টাকার সম্পদ।
এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, স্থানীয়ভাবে এই মাদক ব্যবসায়ীকে মদদ দিচ্ছেন একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি পদপ্রাথী আল আমিন ওরফে টুণ্ডা আল লামিন। টঙ্গী পূর্ব থানার সাবেক এএসআই ওমর ফারুকের ক্যাশিয়ার হিসেবেও আল আমিনের নাম শোনা যায়।
সূত্রে জানা যায়, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোমেলার বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানা, গাজীপুর ডিবি, র্যাব ও গাজীপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ১৭টি মাদক মামলা রয়েছে। প্রত্যেকটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
একটি বিস্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মোমেলার মাদকের বড় চালান আনার জন্য রয়েছে তার নিজস্ব মিনিট্রাক। এই ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে আনা হয় ফেনসিডিল ও মর নেশা ইয়াবা। এসব মাদক (ফেনসিডিল ও ইয়াবা ) রাতের আঁধারে ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মোমেলার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি তার মা লতিফা বেগমকে দিয়ে রিসিভ করানো হয়। এ সময় মোমেলার মা জানান, আমার মেয়ে ৩-৪ মাস আগে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে। আর তিনটি বাড়ি মাদক ব্যবসা করেই করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে একটি বাড়ি মোমেলার নামে হলেও বাকিগুলো মোমেলার মায়ের নামে বলে জানান তিনি।
মোমেলার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার স্ত্রী একজন মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে সমাজে আমি মুখ দেখাতে পারি না। আমার শাশুড়ির প্রশ্রয়ের কারণে আমার স্ত্রী মোমেলা এসব মাদক ব্যবসা করে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ জানান, মোমেলা একজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। আমি যোগদানের পর তাকে কয়েকবার মাদকসহ গ্রেফতার করেছি। আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে জামিনে এসে আবার পুরনো ব্যবসা শুরু করে। তাকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রকাশক
এস এ আশিক
মাতৃবাংলা ২৪ টিভি
আপডেট নিউজ পেতে,
পেইজ-মাতৃবাংলা ২৪ টিভি
ওয়েবসাইট- matribangla.com
ইউটিউব চ্যানেল- মাতৃবাংলা ২৪ টিভি
ই-মেল- matribanglanews@gmail.com