ইংল্যান্ডে ‘দা হানড্রেড’ টুর্নামেন্টে খেলে গত ২০ অগাস্ট ঢাকায় আসেন অ্যালেন। দুই দিন পর কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায় তার কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর। এরপর থেকে টিম হোটেলে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নিউ জিল্যান্ড জানায়, পরপর দুই দিন কোভিড নেগেটিভ হওয়ায় সতীর্থদের সঙ্গে সুরক্ষা-বলয়ে যোগ দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই ওপেনার।
কোভিড আক্রান্ত না হলে নিশ্চিতভাবেই প্রথম ম্যাচে মাঠে দেখা যেত অ্যালেনকে। টপ অর্ডারে দলকে ঝড়ো শুরু এনে দেওয়ার দায়িত্ব তার। প্রথম ম্যাচে তার অভাব অনুভব করেছে দল। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারও ভালো করতে না পারায় ৬০ রানে গুটিয়ে যায় দল।
এখন অ্যালেনকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত নিউ জিল্যান্ডের কোচ গ্লেন পকন্যাল। অপেক্ষায় আছেন তিনি, আক্রমণনাত্মক এই ব্যাটসম্যানের কখন মাঠে নামার মতো অবস্থা হবে।
“আমাদের জন্য দারুণ খবর। সে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান এবং সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তা বিশ্বজুড়েই দেখিয়েছে। এই কন্ডিশনে তাকে পেলে আমাদের ব্যাটিং লাইন আপে অনেক বারুদ যোগ হবে। সে আমাদের স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
“আশা করি, দ্রুতই আমরা তাকে পাব। অবশ্যই দলের বিবেচনায় আসবে সে। প্রশ্নটা স্রেফ হলো, কখন তাকে পাব। দেখতে হবে, শারীরিকভাবে কোন অবস্থায় আছে। এমনিতে সে ভালো আছে। স্রেফ তার অবস্থা বুঝে ঠিক করা হবে, কোন ম্যাচে খেলানো হবে।”
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার। কোভিড পরবর্তী শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করলে এই ম্যাচে অবশ্য অ্যালেনের খেলার সম্ভাবনা কমই।
গত মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশের নিউ জিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক হয় অ্যালেনের। তৃতীয় ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন ২৯ বলে ৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার স্ট্রাইক রেট ১৭১.৫৭।
অ্যালেনের বদলি হিসেবে আসা ম্যাট হেনরিও এখন দলে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। ঢাকায় আসার পর কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি। কোভিড নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে শুক্রবার সতীর্থদের সঙ্গে সুরক্ষা-বলয়ে ঢুকবেন তিনি।