রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র তৈরির কারখানায় ৪ ঘণ্টা ‘বন্দুকযুদ্ধ’, আটক ৩
কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন একটি পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের পর সেখান থেকে আটক করা হয়েছে ৩ জন অস্ত্র তৈরির কারিগরকে। তাদের সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক।
আজ সোমবার ভোররাত ৩টার দিকে কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিতাংশের পাশের একটি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে ১০টি লম্বা বন্দুক, অস্ত্র তৈরির সরজ্ঞাম উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অস্ত্র তৈরির কারিগর কুতুপালং সি ব্লকের বাইতুল্লাহ (১৯), তার ভাই হাবিব উল্লাহ (৩২) ও একই ক্যাম্পের জি ব্লকের মোহাম্মদ হাছুনকে (২৪) আটক করা হয়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল খায়েরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চক্র এই ক্যাম্পের গহীন পাহাড়ে কারখানা তৈরি করে অস্ত্র বানাচ্ছে—এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাই। এই কারখানা থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবারহ করা হচ্ছিল। গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে আজ ভোররাত পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের এক্সটেনশন ৪ এর পাশের গহীন পাহাড়ে অভিযান চলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ৪ ঘণ্টার বেশি সময় দুপক্ষের গুলি বিনিময়ের পর কারখানাটির নিয়ন্ত্রণে নেওেয়া হয়। পরে সেখান থেকে জব্দ করা হয় ১০টি লম্বা বন্দুক, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরজ্ঞাম। আটক করা হয় ৩ জন রোহিঙ্গা অস্ত্র কারিগরকে।’
র্যাব রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে বা কাছাকাছি এলাকায় থাকা অস্ত্র কারখানার সন্ধান করছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।