Logo
শিরোনাম:
ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদসহ তিন অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তরিকতপন্থী ভক্তদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাতিকে ভাগ করার কোন সুযোগ নেই,জাতিকে তারাই ভাগ করে যারা দেশের দুশমন। গাজীপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত,৩ বাসে অগ্নিসংযোগ। গাজীপুরে আবারও লিফট দুর্ঘটনা,১০ তালা থেকে পড়ে রোগীর স্বজনের মৃত্যু। সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। গাজীপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন গাজীপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক ঢাকা ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। গাজীপুরে রাতের আঁধারে বনবিভাগের গাছ কেটে উপার্জন করা হচ্ছে অর্থ ধ্বংস করা হচ্ছে বন। ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছে, এটা ঠিক, কিন্তু তার যে প্রেতাত্মা, ভুত-সেই ভূতগুলা রয়ে গেছে।

সন্তান প্রসবের ১৮ ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষা দিল কিশোরী।

সন্তান প্রসবের ১৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষা দিল কিশোরী

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তান প্রসবের ১৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এক কিশোরী। রোববার সকাল ১০টায় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। তার নাম বীথি আক্তার।

বীথি আক্তার উপজেলার মোন্তাজনগর আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাল্যবিবাহ ও সন্তান প্রসব তাকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বীথি আক্তারের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সানবান্ধা গ্রামে। অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর উপজেলার মোন্তাজনগর গ্রামের রানা হাসান নামের একজনের সঙ্গে বীথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি থেকে সে ২০১৯ সালে মোন্তাজনগর আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এসএসসি পরীক্ষা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরীক্ষার সময় নির্ধারিত না হওয়ার একপর্যায়ে বীথি আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

শনিবার দুপুরে বীথির প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল চারটায় স্বাভাবিকভাবে বীথি ছেলেসন্তানের মা হয়। হাসপাতাল থেকে রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বীথিকে তার মা এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। শিক্ষকেরা জানান, সে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।

মেয়েটি ভালো ছাত্রী। বিয়ের পর সে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। অন্যান্য মেয়ের মতো নিয়মিত ক্লাস করেছে। সে দমে যায়নি। বাল্যবিবাহ ও সন্তান প্রসব—এসব বাধা তাকে থামাতে পারেনি। বীথি প্রধান শিক্ষককে বলেছে, সে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।
সদ্য সন্তান প্রসবের কারণে বীথির পরিবার থেকে তাকে পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য বলা হলেও সে শোনেনি ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost
error: এই সাইটের নিউজ কপি করা বেআইনী !!