ভারতের মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে সোমেশ্বরী নদীর তীরে নেত্রকোনার বিরিশিরি ইউনিয়ন। গত জুনের মাঝামাঝি শুরু হওয়া বন্যায় সোমেশ্বরী নদী উপচে আসা পানিতে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যায়। কিছু নিচু এলাকায় এখনো পানি নামেনি। এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বড় অংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর।
বাড়ইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হেমন্তী মারাক বলেন, ‘বাড়িতে এখনো পানি। জামাইর কাজ নাই৷ ঘরে খাওনের কষ্ট৷’ গতকাল মঙ্গলবার নেত্রকোনায় বন্যায় বিপাকে পড়া হেমন্তীর মতো অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষকে প্রথম আলো ট্রাস্টের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।
গতকাল দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের দাখিনাইল, বাড়ইপাড়া, গাওকান্দিয়া, উথরাইল এবং পৌর শহরের বাগিচাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা খাদ্যসামগ্রী পান। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি আটা, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, এক প্যাকেট গুঁড়া দুধ, এক প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই এবং ১০০ গ্রাম করে মরিচ ও হলুদের গুঁড়ার প্যাকেট।
খাদ্যসামগ্রী নিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালি নারী-পুরুষেরা উথরাইল গ্রামের পিসিনল মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী বিশাখা ঘাগড়া। অস্ফুট স্বরে শুধু বললেন, ‘ধন্যবাদ। অনেক খুশি হইসি।’
পাশে যাঁরা: আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম আলো ট্রাস্ট ৪ জুলাই পর্যন্ত ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ টাকা অনুদান গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে সিলেটের সাতটি, সুনামগঞ্জের চারটি, নেত্রকোনার চারটি উপজেলা ও কুড়িগ্রামে বন্যার্তদের মধ্যে ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারেন আপনিও। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। ব্যাংক হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপের ডোনেশনের মাধ্যমেও আপনার সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।