কোরবানি একটি ওয়াজিব ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ (সুরা-১০৮ কাউছার, আয়াত ২) আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা-২২ হজ, আয়াত ৩৪)
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। একে বড় ঈদ এবং বকরি ঈদও বলা হয়। ঈদ অর্থ আনন্দ। কোরবানি অর্থ কাছে যাওয়া বা নৈকট্য অর্জন। পরিভাষায় কোরবানি হলো, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।
হজরত আদম (আ.)–এর পুত্র হাবিল ও কাবিলের কোরবানি ইতিহাসে প্রথম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি তাদের আদমের পুত্রদ্বয়ের বৃত্তান্ত শোনান। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের (হাবিলের) কোরবানি কবুল হলো, অন্যজনেরটা কবুল হলো না। অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিনদের কোরবানিই কবুল করেন।’ (সুরা-৫ মায়েদা, আয়াত ২৭)