কোরবানির পশু কেনার পর্ব শেষ করেছেন অনেকেই। বাকিরা আজ শেষ করবেন। পথের কষ্ট, দুর্ভোগ মাড়িয়ে গ্রামের বাড়ি পৌঁছাও প্রায় শেষ। আগামীকাল রোববার পবিত্র ঈদুল আজহা।
কিন্তু এবার কোরবানির ঈদ এমন এক সময় এল, যখন দেশের একটা অংশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী বন্যায় দুর্গত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের চাপের পাশাপাশি এখন যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। সবকিছুরই ছায়া পড়েছে এবারের সাধারণ মানুষের ঈদ আনন্দে।
গত দুই বছর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান দুই ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা মানুষ স্বস্তিতে উদ্যাপন করতে পারেনি করোনা মহামারির কারণে। এবার ঈদুল আজহার প্রাক্কালে দেশে করোনা আবার বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার—দুটিই বাড়ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়।কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। হজরত ইব্রাহিম (আ.)–এর সুন্নত অনুসরণ করেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ কোরবানি দিয়ে থাকেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির জন্য মহান আল্লাহতাআলার নির্দেশ পেয়েছিলেন। পরপর দুবার তিনি পশু কোরবানি করেন। তৃতীয়বার একই নির্দেশ পেয়ে তিনি অনুধাবন করেন, পুত্র ইসমাইলের চেয়ে প্রিয় তাঁর কেউ নেই। আল্লাহ পাক তাঁকেই কোরবানি করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)–কে আল্লাহর নির্দেশ জানালেন। শিশু ইসমাইল (আ.) নির্ভয়চিত্তে সম্মতি দিয়ে পিতাকে আল্লাহতাআলার নির্দেশ পালন করতে বলেন।
ঈদের জামাত
রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ হবে সকাল আটটায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে। সকাল সাতটায় হবে প্রথম জামাত। এরপর পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া সারা দেশের পাড়া–মহল্লায় মসজিদ, ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদে পশু কোরবানিই প্রধান ইবাদত। ঈদের নামাজ আদায় করে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন কোরবানির জন্য।