Logo
শিরোনাম:
সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মাদক সম্রাজ্ঞী কারিমাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধন ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়। নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে পেনশন ও ছুটি নগদায়ন (লাম্পগ্রান্ট) এর অর্থ তুলে দিলেন। আবারো সড়কে প্রাণ গেল এক পুলিশ কর্মকর্তার। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ বাসে আগুন। শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীসহ দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাজীপুরে ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিকদের ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ। শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের। রাজধানী ঢাকার পর এবার গাজীপুর  বাসে আগুন।

করোনায় ৯ জনের মৃত্যু

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় দেশে ৬৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই দিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫২১।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৮। আগের দিন এ হার ছিল ১৭ দশমিক ১৮।

সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৩১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৬০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২১২ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৭৮ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৬। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ৫১, রংপুর ১৫, রাজশাহীতে ৪, সিলেটে ৬ এবং ময়মনসিংহ ও বরিশালে একজন করে করোনা শনাক্ত হয়। এ সময় খুলনা বিভাগে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমেছে। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তুলে নেওয়া হয় করোনাকালীন বিধিনিষেধ। ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচেই ছিল। এর পর থেকে তা বেড়েছে।

১৩ থেকে ১৯ জুন—এই এক সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্তের সংখ্যা ৩৮৩ শতাংশ বেড়ে যায়। এরপরের সপ্তাহে অর্থাৎ ২০ থেকে ২৬ জুন শনাক্তের সংখ্যা বাড়ে ২৯৯ শতাংশের বেশি। তবে পরবর্তী সপ্তাহে অর্থাৎ ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৫৩ শতাংশ বেশি করোনা শনাক্ত হয়। তবে সর্বশেষ সপ্তাহে অর্থাৎ ৪ থেকে ১০ জুলাই এ সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমে যায়।

এবার করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অমিক্রনের দুটি উপধরন বিএ ৪ ও ৫ দায়ী বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় বিএ ৫।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost
error: এই সাইটের নিউজ কপি করা বেআইনী !!