ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। তার বাবা মোতাহার হোসেন খান (৪৫) গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।
মাহিদুল জেলা শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তার গণিত পরীক্ষা ছিল। গতকাল সারারাত বাবার মরদেহের পাশে বসে বিভিন্ন দোয়া পড়েছে সে।
এর আগে আদালতে নূরুল ইসলামের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী আফজাল হোসেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে জামিন আবেদনের বিরোধীতা করেন আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রীতিশ কুমার। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নূরুল ইসলাম সর্বশেষ অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) হিসেবে রাজশাহী নগর পুলিশে (আরএমপি) কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তিনি অবসরে যান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুন্দরপুর ইউনিয়নের নবাবজাইগির এলাকার ইউনুস আলী মন্ডলের ছেলে। পরিবার নিয়ে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কে নিজ বাসায় তিনি বসবাস করতেন।
গত ৩০ মে এই বাসায় আত্মহত্যা করেন নূরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা ইসলাম (৫৯)। মায়ের সুইসাইড নোট ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ছবি দিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুক পোস্ট দেন এই দম্পতির একমাত্র ছেলে নুরাইয়াদ নাফিজ ইসলাম। সেখানে বাবার বিরুদ্ধে মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনেন নাফিজ।
নাফিজ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। মায়ের মৃত্যুর পর তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ আনেন বাবার বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর বাবার বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর চন্দ্রিমা এলাকার নিজ বাসা থেকে নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
তবে ছেলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের আগে তিনি জানান, সে (নাফিজ) ছেলে মানুষ। মায়ের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে এমন অভিযোগ আনছে।