রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রির দায়ে সাত প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে সাত প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক এএসপি এনায়েত কবীর সোয়েব জানান, সম্প্রতি অসাধু ব্যবসায়ীরা মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি করে আসছিল। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি দল ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
এ সময় বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি করার অপরাধে যাত্রাবাড়ীর হৃদয়-মিম কেমিক্যাল কোম্পানিকে নগদ দুই লাখ টাকা, একই এলাকার মাহির কনজিউমার প্রডাক্টসকে দুই লাখ, রাসেল এন্টারপ্রাইজকে ২৫ হাজার টাকা, জামিল কনজিউমার লিমিটেডকে ৪ লাখ, কেরানীগঞ্জের এইচ আর কসমেটিকসকে দুই লাখ টাকা, একই এলাকার বিজলী ক্যাবলস লিমিটেডকে ৩ লাখ এবং নকল হেয়ার, ফেস ক্রিমসহ অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদনের অপরাধে নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকাসহ মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে প্রায় তিন লাখ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।