ত্রিশালে ফিলিং স্টেশনের মালিকানা নিয়ে দুই সহদরের দন্দ।
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে ফিলিং স্টেশনের মালিকনা নিয়ে আপন দুভাইয়ের মধ্যে দন্দ চলছে। ত্রিশাল উপজেলার বাগান এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশন নিয়ে এ দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মালিক ও পরিচালনা করছে সোহেল রানা। কিন্তু তার বড় ভাই আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে বদরোজ্জদা হায়দার অভি ওই স্টেশনটির ৪০ শতাংশ মালিকা দাবী করে। এই বিষয়ে সোহেল রানা ত্রিশাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ, আব্দুল মান্নানের ছেলে বদরোজ্জদা হায়দার অভি নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সোহেল রানার মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশনটি দখলে নিতে সোহেল রানাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
বদরোজ্জদা হায়দার অভি মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের নামে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিয়ে আসছে, তারা এই ফিলিং স্টেশনটির মালিক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মালিক সোহেল রানা বলেন, আমার বড় ভাইয়ের সাথে আমার ১৯ অক্টোবর ২০১১ সালে একটি চুক্তিপত্র হয়েছিল। ঐ চুক্তিপত্রের কয়েকদিন পরে ২৫ অক্টোবর ২০১১ সালে আরেকটি চুক্তিপত্র হয় এতে ফিলিং স্টেশনের পুরো মালিকানা আমার হয়ে যায়। পরে আমার বড় ভাই ও ভাতিজা বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এ বিষয়ে আমি ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করি। ওসি স্যার দরবার করেছে। বড় ভাইকে বলেছে তার কাগজপত্র যতটুকু আছে তা মামলা করার মত নয়। আমার কাছে কোর্টের নোটারী সার্টিফিকেট আছে। আমার ভাই যে চুক্তিপত্র দেখাচ্ছে তার কোনো নোটারিও নেই। এমনকি আমার স্বাক্ষরও নেই।
অভিযোগকারী আব্দুল মান্নান বলেন, এ বিষয় আমি কিছু বলতে পারবোনা আপনারা আমার ছেলের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে মান্নানের ছেলে বদরোজ্জদা হায়দার অভি বলেন, আমাদের কাছে একটি চুক্তিপত্র রয়েছে যা আমরা প্রকাশ করেছি। কিন্তু চাচা বলছে তার কাছে অপর আরেকটি চুক্তিপত্র রয়েছে তা তিনি প্রকাশ করেনি। ওনি যদি আমাদের চুক্তি পত্রের বিপরীতে কোন চুক্তিপত্র উপস্থাপন করতে পারে তবে এই বিষয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, থানায় দুই পক্ষকে ডেকে আনা হয়েছিল। বাদী ও বিবাদীর দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখেছি। আব্দুল মান্নানের চুক্তিনামার প্রথম পাতায় কারও স্বাক্ষর ছিলনা। এ কাগজ দিয়ে কোন মামলা রুজু বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আব্দুল মান্নানকে বলেছি এখানে পুলিশের করার কিছু নেই। আপনি আদালতের ধারস্থ হতে পারেন। ফিলিং স্টেশনে কোনো প্রকারের বিশৃঙ্খলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।