রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতিতে শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াতে এসে আবু তাহের নামে (৪৫) এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। নিহত আবু তাহের একই এলাকার আয়নালের ছেলে। গতকাল রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল স্থানীয় নূর হোসেন ও আবু কালামের। ওই ঘটনায় গত ১১ অক্টোবর মারামারি হয় দুইপক্ষের। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়।
কিন্তু মীমাংসা উপেক্ষা করে রোববার দিন থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় আবু কালামের লোকজন। একপর্যায়ে মধ্যরাতে বেশ কিছু লোকজন নিয়ে হামলা চালায় নূর হোসেনের বাড়িতে। সেসময় দাওয়াতে আসা আবু তাহের দরজা খুলে বের হলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই নুর হোসেন জানান, ভগ্নিপতিকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। খাওয়া করে রাত হওয়ায় আর বাড়ি যেতে দেইনি তাকে। রাত আড়াইটার দিকে বেশ কিছু ছেলে এসে আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় আমার ছেলে ও ভগ্নিপতি বের হলে তাদের ওপর হামলা চালায় তারা। এতে রাতেই আবু তাহের মারা যায়। তার কি দোষ ছিল? কিছু না জানা ছেলেটাকে এভাবে মারল দুর্বৃত্তরা। আমি তাদের চিনেছি। এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহতের ছেলে রাসেল বলেন, আমার বাবাকে রাতে মামা দাওয়াত দিয়েছিলেন। সেই দাওয়াতে এসেছিলেন বাবা। উনি তো কারো সঙ্গে মারামারি করেননি। ওনাকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে কেন মারলো তারা? আমরা এতিম হলাম। আমার ছোট বোন ও মা আছে। এখন কীভাবে চলবো কিছুই কূলকিনারা পাচ্ছি না। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম বিল্লাহ জানান, শুনেছি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানা যায়নি।
মাতৃবাংলা ২৪ টিভি
নিজস্ব পতিনিধি রংপুর