প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিশাল শো-ডাউন
সোমবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে দুপুর ১২টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী, রেজাউল করিম রাসেল-গাজীপুর০১, কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন-গাজীপুর ০২ ও আখতারউজ্জামান- গাজীপুর০৫ কে নিয়ে কথা বলেন এবং একটি শো-ডাউনে নেতৃত্ব দেন। শো-ডাউনটি জেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে বিকেলে সংসদীয়-০৫ আসনের বাড়িয়া ইউনিয়নের শুকুন্দিতে ছুটি রিসোর্টে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আখতারউজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্যে তিনি বলেন- জনগণকে যারা সম্মান করবে তাদের জনপ্রতিনিধি হওয়া দরকার। আজ দেখেন সব আওয়ামীলীগ এক হয়েছেন। যার রক্তে আওয়ামী লীগ, যারা আওয়ামীলীগকে ভালোবাসেন, আওয়ামীলীগের জন্য যারা জীবন দেন তারা আজ এক হয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন- প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একটা সুযোগ দিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারির সেই সুযোগটি আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা সবাই আজ একতাবদ্ধ। কেউ হুমকি দিলে খালি নম্বরটা দিয়ে দেবেন। চুরি আর ছ্যাঁচড়ামি চলবে না। আদর্শ লোকেরা রাজনীতি করবে, আদর্শ লোকেরা জনপ্রতিনিধি হবে। আমাদের আদর্শের ভাই আখতারউজ্জামান। তার আদর্শ ও নীতির সঙ্গে আমরা আছি। আখতারউজ্জামান ভাইকে নিয়ে প্রথম পর্যায়ে আমরা বাড়িয়া ইউনিয়নকে পৌরসভা বানাবো।
তিনি আরো বলেন- আমাদেরকে পদচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা আওয়ামীলীগের সমর্থক। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের আমরা সম্মান করি। কারণ, এটা গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যারা মানুষকে ক্ষতি করবে না, রাষ্ট্র, সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের বিধি অনুযায়ী যারা চলবে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি।
গাজীপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান বলেন, ভোট সুষ্ঠু করতে হবে। সবাইকে ভোট দিতে আসতে হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লাইন ধরে মা-বোনেরা ভোট দেবেন। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সবাই আপনাদের সঙ্গে আছেন। তারা নির্বাচনকে একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে গেছেন। সবকিছু এখন পর্যন্ত ঠিকভাবে চলছে। আমরা আশা করি, ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রকমই চলবে। মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গাজীপুর জেলা পতিনিধি /আলীহোসেন