মাতৃবাংলা /নিজস্ব পতিনিধি
ঢাকায় ফাঁকা বাসায় চুরি চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের রাজধানী ছাড়েন ঢাকার কোটি মানুষ। এসময় সক্রিয় হয়ে উঠে পেশাদার চোর চক্র। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাসাই ছিলো তাদের টারর্গেট। চুরির জন্য ঈদের আগে জামিনে বের হয়েছিল চক্রটি। ঈদের মাস দুয়েক আগে জামিনে এসে ফাঁকা বাসায় চুরির অভিযোগে পেশাদার চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ মিরাজ হোসেন, মোঃ মামুন, মোঃ সায়মন, অমিত হাসান ইয়াসিন, বরুন, হাসিনা বেগম এবং জামিলা খাতুন হ্যাপি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে চকবাজার মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজত থেকে গলানো স্বর্ণসহ বেশকিছু চোরাই স্বর্ণালংকার ও একটি মুঠোফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ রবিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাহাবুব উজ জামান পিপিএম।তিনি বলেন, গত ৯ এপ্রিল পূর্ব ইসলামবাগের এক ব্যক্তি ঈদ উৎযাপনের জন্য সপরিবারে গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট যান। ১২ এপ্রিল বাসায় এসে হেজবল্টের লক ভাঙ্গা দেখতে পান। তখন বাড়িওয়ালা এবং অন্যান্য ভাড়াটিয়াসহ ফ্ল্যাটের ভিতর প্রবেশ করে দেখে যে, সকল রুম এলোমেলো। স্টিলের আলমারির তালা ভাঙ্গা। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া মোঃ হাফিজুল ইসলামের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলা রুজুর পরপরই বিভিন্ন পয়েন্টের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং নির্ভরযোগ্য সোর্সের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত এই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ততথ্য সম্পর্কে মাহাবুব উজ জামান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে প্রথম চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪৭টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে শুধু মামুনের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। এরা চুরির আগে এলাকায় ঘুরে ঘুরে রেকি করে। এরপর একবাসায় বসে চুরির প্লান করে। তারপর সময় ও সুযোগ বুঝে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান গেজেট চুরি করে। চোরাই স্বর্ণ তাঁতিবাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে। তিনি সাথে সাথে সেগুলো গলিয়ে ফেলে। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।