মাতৃবাংলা ২৪ টিভি
বিশেষ প্রতিনিধি
মো:জাকারিয়া শিকদার।
প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
এদিকে সারাদেশের তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
জনজীবন। হাসপাতালে বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। সেখানে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন।
রোদ-গরম উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাজীপুরের কৃষি শ্রমিকরা। পাশাপাশি লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদসহ শিল্পকারখানার উৎপাদন।
এদিকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস না থাকায় গরমের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন ৩১নং ওয়ার্ড ধীরাশ্রম বাজারে রাস্তার পাশে শরবত পান করছিলেন রিক্সাচালক কালাম মিয়া। তিনি মাতৃবাংলা নিউজকে বলেন, অনেক কষ্ট হচ্ছে। কি আর করার। আমরা গরীব মানুষ। পেটের দায়ে বের হচ্ছি। ঘরে খাবার থাকলে, এই গরমে বাইরে বের হতাম না।
তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই কাজে বের হতে হচ্ছে তাদের।
ভ্যানে হরেক রকম পণ্য বিক্রি করছিলেন নোয়াখালীর খোকন মিয়া। পরিবার নিয়ে থাকেন ধীরাশ্রম এলাকায়,তিনি মাতৃবাংলা নিউজকে বলেন, এত গরম এর আগে কখনোও অনুভব করিনি। দেখতেইতো পারছেন ঘেমে জামা আর শরীর একাকার। কপাল থেকে ঘাম ঝরছে। ঈদের পর বিক্রি কম। খুবই কষ্ট হচ্ছে।
পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তীব্র তাপদাহ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাই আপাতত গরম থেকে মুক্তি মিলছে না দেশের মানুষের।
রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ বেশকিছু জেলায় অতি তীব্র তাপদাহ চলছে। এসব জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও তাপ কমবে না বলে জানানো হয়েছে।
তীব্র গরম থেকে বাঁচতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন হাজারো মানুষ। দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টি জন্য দোয়া করছেন মুসল্লিরা। গরমের কারণে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকূলও পড়েছে বিপাকে। বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়ে গেছে রোগীর সংখ্যা।