Logo
শিরোনাম:
মাথা গোজার ঠায় নেই, খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করে শহিদুলের পরিবার। গাজীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা এনামুল হক মোল্লা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার। দোহারে বিভিন্ন বাজারে অভিযান ৬০ কেজি জাটকা জব্দ। গাজীপুরে ৫ মণ মাংসসহ জীবিত উদ্ধার ৩৭ ঘোড়া উদ্ধার। আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী-তুরাগ নদীর উপর নতুন সংযোগ সেতু নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন। গাজীপুরে বনদস্যুদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবকদল নেতাসহ আটক ৩ গাজীপুরে বিএনপি’র ৪টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা, ২ টি আসনের এখনো রয়েছে রহস্যে ঘেরা। ২৩৭ আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা,গাজীপুরে মনোনয়ন পেলেন যারা.. দোহারে র‍্যাব-১০ এর অভিযানে ২৬৩ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১ কুয়াকাটায় নির্বাচন কমিশনার মো:আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশা করছি”।

আজ ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী।

মাতৃবাংলা/ জেলা পতিনিধি

আজ ৭ মে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা. প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, ভাওয়াল ভীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামাত মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আহ্সান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরর বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে পক্ষকাল ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ, স্মরণ সভা এবং বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ।

আজ ৭ মে সকালে গাজীপুর মহানগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ( গাজীপুর-২ সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।

কিংবদন্তী এ নেতার শাহাদৎ বার্ষিকী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সাবেক সংসদ সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদতবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বলেন, শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল একজন জননন্দিত শ্রমিক নেতা। তিনি ছিলেন কৃষক-শ্রমিক তথা আপামর মেহনতি মানুষের অতি আপনজন। গণতন্ত্রকামী এই ত্যাগী নেতা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সবসময় ছিলেন সোচ্চার। তিনি মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে কখনো পিছপা হননি। এজন্য তাঁকে বহুবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়সহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, “স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বলেন, শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার (গাজীপুর-২, গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই জননেতা ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজীবন মানবসেবায় নিয়োজিত এই ভাওয়াল বীর তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসতেন, তিনি আমৃত্যু তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত নোয়গাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সংগ্রামী জননেতা আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের স্বপ্ন ছিল, শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের জন্য মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত টঙ্গী- গাজীপুর গড়ার। কালে কালে তিনি হয়ে উঠেন জঙ্গি-সন্ত্রাসের মদদদাতা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পথের কাঁটা। হাওয়া ভবনের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার নীল-নকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিএনপি-জামাত মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী ২০০৪ সালের ৭ মে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আহ্সান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে। একজন প্রিয় শিক্ষককে সন্ত্রাসীদের গুলি থেকে বাঁচাতে বুক পেতে দিয়েছিলো ছাত্র ওমর ফরুক রতন, সেও মৃত্যুবরণ করে। শুধু তাই নয়, আহ্সান উল্লাহ মাস্টার নিহত হওয়ার পর শোকার্ত, বিক্ষুব্ধ, প্রতিবাদী জনতার ওপর গুলি চালিয়ে আরো দু’জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে জোট সরকারের পুলিশ, গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের হাজারো নেতা-কর্মীকে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বাহিনী এই হত্যাকান্ডের প্রধান সাক্ষীকেও বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে। আশা করি, বিচারকার্য চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর হবে। আমি শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীসহ সকলকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost