মাতৃবাংলা
বিশেষ প্রতিনিধি।
মো:জাকারিয়া শিকদার
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাঈদ ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও তাদের সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাতৃবাংলা অনলাইন প্রএিকার মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব মো:মাহাবুবুল আলম।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহতের ঘটনায় ইরানজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। শোক জানিয়েছে ভারত, রাশিয়া, ভেনিজুয়েলাসহ অন্যান্য দেশ। বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নআমির আবদোল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন বলে ইরানের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
‘’প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও হেলিকপ্টারে থাকা অন্য সকল যাত্রী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে,’’ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় এব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানী দল। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোন চিহ্ন নেই।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি।এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।
তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান ছাড়াও আরো ছিলেন ধর্মীয় নেতার (খামেনি) প্রতিনিধি ও তাবরিজের ইমাম সৈয়েদ মোহাম্মদ আল হাশেম, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালিক রাহমাতি, পূপ্রেসিডেন্ট প্রোটেকশন ইউনিটের কমান্ডার সরদার সৈয়েদ মেহদি মৌসভি, কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী এবং ক্রুরা।
তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। কিন্তু ভারী কুয়াশা থাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে।
পূর্ব আজারবাইজানের ডেপুটি গভর্নর ফর ডেভেলপমেন্ট আলি জাকারি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান “ওই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল এবং অন্য দুটি নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছে। একটি বিধ্বস্ত হয়েছে।”
নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ ছিলেন।