মাতৃবাংলা / জেলা পতিনিধি
গাজীপুর সদরথানা ৩১নং ওয়ার্ড এর ধীরাশ্রম ফুলবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ৫ টার দিকে,কু*খ্যাত স*ন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু নুরুল ইসলাম ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে নিরীহ বয়স্ক মহিলা সুফিয়া বেগমকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে এসে নির্মমভাবে হত্যা করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
আহত সুফিয়া বেগম এর ছোট ছেলে সুজন সাংবাদিক কে বলেন,বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি ও আমার মা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম,এমন সময়-জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি ইজিবাইক ও একটি মোটরসাইকেলে আরো ১২-১৩ জন লোক লাঠিসোটা, দা, লোহার রড় সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমার ঘরে প্রবেশ করে।তারপর কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমি ও আমার মাকে বেধরক মারপিট ও লাঠি দিয়ে পিটাটে শুরু করে,ঘটনার একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে শুরু করে।আমি দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করি ও এলাকাবাসীদের ডাকাডাকি করি। এক পর্যায়ে আমার মাকে মাতায় কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা।আশপাশের মানুষ তার শোরচিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে আহত সুফিয়া বেগম গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মাথায় গুরুতর আগাতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত সুফিয়া বেগমকে বড় ছেলে মো:সুমন ইসলাম ফোনে সাংবাদিক কে বলেন, আমি ঢাকায় থেকে চাকরি করি, বাসায় শুধু আমার বয়স্ক মা ও ছোট ভাই থাকে। জমিসংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওরা আমার মা ও ছোট ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাসায় এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।আমার ছোট ভাই দৌঁড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করলে ও আমার মাকে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে,মাথায় জখম করায় আমার মা এখন গুরুতর অবস্থায় আছে।তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
উল্লেক্ষ এই ভূমিদস্যু নুরুল হক বিগত ৫ বছর ধরে আওয়ামীলীগের ছত্র ছায়ায় অন্যায়ভাবে মানুষের জোরপূর্বক জমি দখল, লুটতরাজ, চাদাবাজী এবং ডাকাতী করে আসছে। তার নামে অসংখ্য মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
এই নিরীহ মানুষের উপর এমন হিংস্র আক্রমনের তীব্র নিন্দা এবং ধীক্কার জানিয়ে এর দ্রুত উপযুক্ত বিচার চেয়েছে এলাকাবাসী । এমন ঘৃন্যতম অপরাধী স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারে না এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসী।