মাতৃবাংলা /গাজীপুর জেলা
বিশেষ প্রতিনিধি/জাকারিয়া শিকদার।
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় তুরাগ নগের দুই পাশসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় সভা–সমাবেশ, মিছিল–বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড.মো: নাজমুল করিম খান এর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বিশ্ব ইজতেমার মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ও পরবর্তী নিদর্শনা না দেওয়া পযন্ত টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আসেপাশের(৩) তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে (০২) দুই বা ততোধিক ব্যাক্তি একত্রে ঘোরাফেরা জামায়েত ও কোন মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
একইসাথে কোন প্রকার অশ্র-শস্র,ছুড়ি লাঠি ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করতে পারবে না।
এতে বলা হয়েছে, উদ্ভুত পরিস্থিত মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বুধবার বিকেল ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর ১০, এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ–পশ্চিম এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা–সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।
এরআগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঠ দখল নিয়ে ওই দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন শতাধিক।
স্থানীয়দের ভাষ্য, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন। এ সময় মাঠের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালান।
একপর্যায়ে সাদপন্থীরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার বলেন, ইজতেমায় মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হয়েছে। এতে তিনজন মারা গেছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।