গাজীপুর শহরের ফুটপাত এখন হকারদের দখলে।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর রেলগেইট এলাকা,এখানে ফুটপাত আর রাস্তা দখল করে প্রতিদিনই চলে রমরমা বানিজ্য। শুধু রেলগেইট নয়,,গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা,ভোগড়া বাইপাস, কোনাবাড়ি ও একই চিএ।মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানগুলো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচলের কেন্দ্রবিন্দু হলেও সড়ক ও ফুটপাত এখন কার্যত ভাসমান দোকানিদের দখলে।ফুটপাত দখল করে বসেছে হকার। সেখানে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার জমজমাট ক্রয় বিক্রয়। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নেই পরিকল্পিত কোন উদ্যোগ। যেমন খুশি তেমনভাবে চলছে গাড়ি! ভয়াবহ যানজটে হাঁসফাঁস যাত্রীদের প্রাণ।
সড়কে ভয়াবহ যানজটে হাঁসফাঁস যাত্রীদের প্রাণ। সড়কের একাংশ জুড়ে বাস, মিনিবাস, টেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নানা যানবাহনের দীর্ঘ সারি। দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীদের হাঁটার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। বাধ্য হয়ে তারা চলাচলের জন্য ব্যবহার করছেন মূলসড়ক। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও অভিযানের পর মুহূর্তেই আবার দখল হয়ে যায় ফুটপাত। ফলে ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছে না পথচারীরা।এমনিতেই গাড়ির চাপ তার ওপর ফুটপাত। দখল,তাইতো ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের।সড়ক ও ফুটপাতজুড়ে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকানের কারণে যাত্রী ও পথচারীদের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে এবং বিরম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
বার বার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না ফুটপাতগুলো।শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর ফের যাতে বেদখল না হয় সেজন্য নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলে স্বস্তি ফেরাতে ফুতপাতে এসব ভাসমান দোকান দ্রুত উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী।ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে মত দিয়েছেন নগরবিদরা।