আহতদের মধ্যে আরও কয়েকজন হলো— টঙ্গী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রনি (৩৫), ছাত্রদল নেতা সোহান (২৫), সাবেক ছাত্রদল নেতা সাব্বির (২৬), জামাল (৩০), বাদশা (৩০), নয়ন (৩৫) ও হৃদয় (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিনের লোকজন বিসিকের রেডিয়েন্ট ওষুধ কারখানার বর্জিত(জুট) মালামাল আনতে যায়। এসময় সাবেক টঙ্গী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অপর একটি গ্রুপ বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে গাজী সালাহ উদ্দিন গ্রুপ ফাঁকা গুলি ও ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে প্রতিপক্ষের সালাহউদ্দিন গ্রুপকে হটিয়ে দেয়। পরে গাজী সালাউদ্দিন গ্রপ এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে ওয়েস্টেজ মালামাল নিয়ে যায়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে লিখিত চুক্তি করেছে। আমার লোকজন বৈধভাবে মাল আনতে গেলে কতিপয় লোক বাধা দেয়। এসময় তাদের হামলায় আমার ৩-৪ জন লোক আহত হয়েছে।’
অপরপক্ষের নেতা সাবেক টঙ্গী থানা (অবিভক্ত) যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন এম.কম বলেন, ‘আমাদের দলের কিছু লোক বিসিকের একটি কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে যাচ্ছে খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের ৫-৬ জন আহত হয়।’
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিসিকে একটি কারখানার ওয়েস্টেজ মাল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়েছি। গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ না করায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।