নিজস্ব প্রতিবেদক/জাকারিয়া শিকদার।
শুক্রবার বিকেলে ২১ শে ফ্রেবুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩১নং ওয়ার্ড ভারারুল চৌরাস্তায় বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলার আয়োজন করা হয়।গ্রামীন ঐতিহ্যের একসময়ের জনপ্রিয় খেলা হাডুডু এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।গ্রামের কাঁচা রাস্তায়,মাঠ,বাগানে বা খেলার স্থানে জমজমাট ও উৎসবমুখর পরিবেশে হতো এই হাডুডু খেলা। কিন্তু কালের আবর্তে সেই খেলা এখন আর দেখা যায় না। তাই জনপ্রিয় খেলাটি টিকিয়ে রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে গাজীপুরের ভারারুলে হয়ে গেল হাডুডু প্রতিযোগিতা।
এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সদর মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড.মেহেদী হাসান এলিস।তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এ্যাড.কৈশিক আহমেদ। এসময় তিনি বলেন আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে আজকের এই দিনটিকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আজকে সেই শহীদদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।দীর্ঘ ১৭ বছরের শুধু আমাদের কন্ঠরোধই নয় আমাদের সবকিছুই রোধ করা হয়েছিল।তারা কাঁদতে বললে আমাদের কাঁদতে হতো তারা হাসতে বললে আমাদের হাসতে হতো।তবে ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর আমাদের মুক্তির দুয়ার খুলে গিয়েছে।এখন মানুষ খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদের গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরতে পেরে সকল কর্মকান্ড করছে।৫ই আগষ্ট এর পর আমরা আমাদের নতুন করে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।সামনে নির্বাচনে এদেশের মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন,গ্রামীণ ঐতিহ্যের একসময়ের জনপ্রিয় খেলা হাডুডু এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।আধুনিক খেলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেই হাডুডু বা কাবাডি খেলা, এটি আপনাদের একটি ভালো উদ্যোগ যে আমাদের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় খেলা যেটি হারিয়ে যেতে বসেছিল সেটি আপনারা ধরে রেখেছেন।
উক্ত খেলা সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো:সাইফুল ইসলাম টুটুল।তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী মোশাররফ ও ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো: শাহিন পারভেজ।এসময় উক্ত খেলার উদ্বোধন করেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবদলের ১নং সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় বিএনপির অন্যঅন্য নেতাকর্মীরা ও উপস্থিত ছিলেন।
টান টান উওেজনায় বিকাল ৪টায় শুরু হয় ঐতিহাসিক কাবাডি (হাডুডু) খেলা।খেলাটি দেখতে বিড় জমায় আশেপাশের নানান শ্রেনি প্রেশার মানুষ।দুপুর থেকেই উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকেন খেলার মাঠে।দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও টান টান উওেজনায় তুঙ্গে ছিল প্রতিটি মুহূর্ত। এরপর বিজয়ী টিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। প্রতিবছরই এই ধরনের খেলা আয়োজনের দাবি স্থানীদের।
কাবাডি, বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। মূলত হাডুডু নামটির পোশাকি নাম কাবাডি। ১৯৭২ সালে কাবাডিকে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরের বছর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের অপেশাদার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়।