নিজস্ব প্রতিবেদক/জাকারিয়া শিকদার।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসি ও গাজীপুর কোনাবাড়ী থানার সাবেক (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগষ্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজ ছাত্র মো. হৃদয় হত্যার মামলার আসামি ছিলেন তারা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানা থেকে বদলি হয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম।এর আগে তিনি গাজীপুর পুবাইল থানায় ওসির দায়িত্বে ছিলেন।পুবাইল থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য সহ নানা অভিযোগ উঠে এসেছিলপ্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর ডিবিতে কর্মরত ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম ওসিসহ ৪ পুলিশকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে। পরে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা সাবেক পরিদর্শক ও দুই কনস্টেবলসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী মাসে তাদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন।
কারাগারে পাঠানো পুলিশ সদস্যরা হলেন, বর্তমান ভাঙ্গা থানার ওসি ও সাবেক গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা সাবেক পরিদর্শক এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল ফাহিম হাসান ও কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান সজীব।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৪ পুরিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।গাজীপুরে সংঘটিত হৃদয় হত্যা সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে ডিবি পুলিশ কতৃর্ক তাদেরকে হাজির করা হয়। পরে ট্রাইবুনাল ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সূত্র আরো জানায়, বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে ফরিদপুর এসপি অফিসে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয় নেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদেরকে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়েছে।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।