নিজস্ব প্রতিবেদক/জাকারিয়া শিকদার।
গাজীপুর হায়দারবাদ এলাকায় বহুল আলোচিত ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ করলো প্রশাসন। ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দেশব্যাপী আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অনুমতি ছাড়াই গত কয়েক মাস ধরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করায় প্রশাসন বিষয়টি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন এবং গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া।
আজ মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. এস এম হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মৌখিকভাবে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হারাম নয়। তবে ঘোড়া আমাদের দেশে বিলুপ্তপ্রায় একটি প্রাণী। এ কারণে বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়া জবাই করতে হলে সরকারের অনুমতি এবং নির্দিষ্ট কসাইখানার অনুমোদন প্রয়োজন, যা উদ্যোক্তারা নেননি।চলতি বছরের শুরুতে গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু হয়। প্রথমে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করা হলেও চাহিদা বাড়ায় পরে ৩৩০ টাকা কেজি করা হয়।
স্থানীয়রা বলেন, ঘোড়া নবী-রাসূল (সা) এর আমল থেকে উপকারী একটি প্রাণী, দেশে প্রতিটি পর্যটন স্পটে এ প্রাণীটি বিনোদন খাতে কাজে লাগছে, এভাবে ঘোড়া জবাইয়ের মাধ্যমে বিলুপ্ত করে ফেললে এক সময় ঘোড়া শূন্য হয়ে যাবে বাংলাদেশে, তাই ভবিষ্যৎ আর যেন কোন ঘোড়া জবাই বা বিক্রি কেউ করতে না পারে সেটা প্রশাসনের নজরদারিতে রাখতে হবে।
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যতীত এবং লাইসেন্স ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে এক বছরের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন জানান, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি উঠেছে। এ অবস্থায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।