স্টাফ রিপোর্টার: সৌরভ হাসান হাসিব।
মিয়ানমারে গত শুক্রবার (২৮ মার্চ ২০২৫) শক্তিশালী ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যাতে এখন পর্যন্ত ২,৭১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সামরিক সরকার। আহত হয়েছেন অন্তত ৪,৫২১ জন, এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪৪১ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং অঞ্চল, যা মান্দালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত। এতে ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বহু আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা জানিয়েছে, মান্দালয়ে একটি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ধসে পড়ার ফলে ৫০ শিশু ও ২ শিক্ষক নিহত হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক সরকার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। তবে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে খাবার, পানি, ওষুধ ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) জানিয়েছে, মান্দালয়সহ ভূমিকম্প-আক্রান্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা এখনো আতঙ্কে খোলা জায়গায় রাত কাটাচ্ছেন। পরাঘাতের (আফটারশক) আশঙ্কায় তারা ভবনে প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছেন।
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত মানবিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ, রেড ক্রস ও অন্যান্য সংস্থা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য কাজ শুরু করেছে। তবে সামরিক সরকারকে মানবিক সহায়তার পথ উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে। ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসে পড়েছে, যেখানে এখনো অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ভয়াবহ দুর্যোগে মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর দ্রুত সমন্বিত সহায়তা প্রয়োজন।