জাকারিয়া শিকদার/সম্পাদক, মাতৃবাংলা।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে শেষ পর্যন্ত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানিয়েছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির প্রথম বৈঠক এটি।এই বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়।
দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্কের বরফ গলার জন্য থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠানরত বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে স্বল্প সময়ের এই বৈঠকটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল।বৈঠক ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হয়েছে বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।শফিকুল আলম জানান, “বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং গঠনমূলক ছিল। উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্ত হত্যা বন্ধ, গঙ্গার পানি চুক্তির নবায়ন, তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গও ইউনূস তুলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের সময় ইউনূস মোদিকে ২০১৫ সালে ভারতের মুম্বাইতে তার কাছ থেকে একটি পদক গ্রহণের ছবি উপহার দেন।এর আগে, গত ৩ এপ্রিল শুরু হওয়া বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেন এই দুই নেতা। সম্মেলনতাদের পাশাপাশি দেখা গেলেও দুই নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের আগেই শুক্রবার মোদি বসেছিলেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাই-এর সঙ্গে। অন্যদিকে ইউনূস বসেছিলেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো সেরিং টোবগার সঙ্গে।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মোদি। সেজন্য দুই দেশের সম্পর্কের পরিবেশ নষ্ট করে এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সীমান্তে অবৈধ পারাপার বন্ধের পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আলোচনায় তুলেছেন।