Logo
শিরোনাম:
মুক্তাগাছা উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে তীব্র তাপদাহে সকল শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ ঠান্ডা শরবত পানি ও স্যালাইন বিতরণ। গাজীপুরের কাশিমপুরে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ২জন ও ধর্ষণ মামলায় ১ জন গ্রেফতার। শ্রীপুরে ধানের খেতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ও তারদুই স্বজনের বাড়িতে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র মজুতাগারে হামলার দাবি পাকিস্তানের, দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা কুপিয়ে তিন ভাগ করার হুমকি, দুই ঘণ্টা পর স্কুলছাত্র জয় ছুরিকাঘাতে খুন গাজীপুরে শ্রীপুরে ফুটবল খেলার দ্বন্দে ছুরিকাঘাতে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু। ভাগিনার জাল জলিলের প্রতারণা শিকারে মামা গাজীপুর বিজ্ঞ জজ আদালতে মামলা। গাজীপুরে বিএনপি নেতাদের নামে এনসিপির মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন গাজীপুরে মার্কেটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে ইমাম মাওঃ রইছ উদ্দিনের মৃত্যুর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি গাজীপুরের শীর্ষ আলেমদের..!

ঈদের আট দিনে সড়কে প্রাণ গেল ১৩২ জনের: বিআরটিএর প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার: সৌরভ হাসান হাসিব।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চলতি বছরের ঈদের ছুটির আট দিনে দেশের সড়কপথে ১১০টি দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত এবং ২০৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই সংস্থার প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে সড়ক দুর্ঘটনার উদ্বেগজনক চিত্র।

বিআরটিএর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ২৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৪ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৩১ জন, খুলনায় ২৩ জন, রাজশাহীতে ১৪ জন, রংপুরে ১১ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন, বরিশালে ৬ জন এবং সিলেটে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।

দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন ছিল ৩১ মার্চ, ঈদের দিন। ওইদিন সারাদেশে ১৮টি দুর্ঘটনায় মারা যান ২৪ জন। পরদিন ১ এপ্রিল মারা যান ১৯ জন এবং ২ এপ্রিল প্রাণ হারান আরও ২২ জন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য একটি দুর্ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়, যেখানে রাজধানীর মিরপুর থেকে কক্সবাজারগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজনসহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়।

বিআরটিএর তথ্যমতে, দুর্ঘটনার হার ও হতাহতের দিক থেকে ঢাকা বিভাগই ছিল সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ, যেখানে ১৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর পরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম (১৭টি), রাজশাহী ও রংপুর (১৪টি করে), বরিশাল ও ময়মনসিংহ (৭টি করে) এবং সিলেট বিভাগ (৫টি)।

ঈদের সময়কালীন দুর্ঘটনার তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের ঈদুল আজহায় (১১-২৩ জুন) ১৩ দিনে ২৩০ জন নিহত ও ৩০১ জন আহত হন, এবং ঈদুল ফিতরের সময় (৪-২০ এপ্রিল) ১৭ দিনে ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হন। তুলনামূলকভাবে এবার ঈদের সময় দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানি কিছুটা কম হলেও সংখ্যাটি এখনো উদ্বেগজনক।

এ বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, “যখন পরিবহন চালক, যানবাহনের অবস্থা ও সড়কের অবকাঠামো সবকিছুই যথাযথ থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা ঘটে, সেটি প্রকৃত দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তা উপাদানের ঘাটতির কারণে যে ঘটনা ঘটে, সেটিকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা যায়।”

তিনি আরও বলেন, “এবার ঈদযাত্রায় তুলনামূলকভাবে যাত্রীদের ভোগান্তি কম ছিল এবং দুর্ঘটনার পরিমাণও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে একাধিক প্রাণহানির প্রতিটি ঘটনাই একটি পরিবারে স্থায়ী ক্ষতের কারণ হয়।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কেবল আইন প্রয়োগ নয়, চালক ও যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসম্মত যানবাহনের ব্যবহার এবং সড়ক অবকাঠামোর টেকসই উন্নয়ন জরুরি।

এই প্রতিবেদন বিআরটিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি দেশের সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost