বিশেষ প্রতিনিধি/
গাজীপুর মহানগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের ঈশ্বড্ডা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা মাদক ও চাঁদাবাজির অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন ওরফে বিশার পরিবারের পক্ষে থেকে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে গত (৫এপ্রিল)শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের ঘটনা ঘটেছে। আমজাদ হোসেন স্ত্রী জানান আতাউর গং দের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। আমি গত৩০-০৩-২৫ইং গাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে দেখা যায় আমজাদ হোসেন বিশার বিরুদ্ধে ফ্যাক্টরিতে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে,অভিযোগটির সত্যতা যাচাই করতে ওই ফ্যাক্টরির মালিক শামিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমজাদ হোসেন ভিসা কোন চাঁদাবাজি করে নি,তিনি আরো বলেন গতকালকে আমার কাছে এক সাংবাদিক এসে জিজ্ঞেস করেছিল বিশা কোন চাঁদা চেয়েছে কিনা তখন আমি বলেছি তিনি আমার কাছ থেকে কোন চাঁদা চান নি,উনি আমার ভাই ব্রাদার, উনার সাথে রাজনীতি করি, উনার সাথে চলি। আমার কাছে কোন টাকা চায়নি সে লোক হিসাবে খুবই ভালো। এমন ফেসবুক পোস্টের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাদিম(৪০) নাহিদ(৩৮) উভয় পিতা- হাজী আতাউর রহমান রুবেল(৪৫) পিতা-হাজী মোতালিব হোসেন, আলী আহাদ(৪৫) পিতা অজ্ঞাত তাহারা সহ ৭/৮ সঙ্গবদ্ধ ভাবে, তারা উগ্র ভূমিদস্যু, চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা চাঁদা বাজী বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কাজ করিয়া আসিতে। আমার স্বামী গাছা থানাধীন ঈশ্বড্ডা সাকিনস্থ সি.এস খতিয়ান নং১৭ এস.এ খতিয়ান নং২০ আর.এস খতিয়ান নং ২৯/৮৯ দাগ নং সি.এস ও এসএ১০৬ আর.এস১৬২/১৬৩ পৈত্রিক ওয়ারিস সূত্রে লাভ করিয়া খাজনা খারিজ পরিশোধ করিয়া শান্তি প্রিয়ভাবে ভোগদখল করিয়া আসিতেে। হঠাৎ ৩০-০৩-২৫ইং অনুমান সকাল ১০:৩০ঘটিকায় উল্লেখিত সকল বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছেন, লোহার রড, লোহার পাইপ চাপাতি, আমার স্বামী উল্লেখিত পৈত্রিক সম্পত্তি নির্মানাধীন দোকান, বাউন্ডারি ভাঙ্গীয়া(২০০০০০) দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। তখন আমার ছেলে রিফাত, আমার দেবর কামাল ফিরাইতে আাগায়া গেলে তাদের এলোপাথারি কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। এবং এই বলিয়া হুমকি দেয় যে কোন কিছুর বিনিময়ে জোর পূর্বক আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করিবে। ইহাতে বাধা দিলে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে।
এ বিষয়ে গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বলেন অভিযোগ টি তদন্তভার আমাকে দেওয়া হয়নি,তবে ওই মহিলা আমাকে কল করেছিল,আমি জরুরী কাজে (৩০-০৩-২৫) তারিখ নেত্রকোনা চলে যাই,তবে ডিউটি অফিসার কে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছিল,তারপর কাকে আইও দেওয়া হয়েছে আমি বলতে পারছি না। আপনারা থানায় যোগাযোগ করে দেখেন।