স্টাফ রিপোর্টার: সৌরভ হাসান হাসিব।
গাজা জ্বলছে, পুড়ছে, নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি মিসাইলের আঘাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায়, মিসাইলের আঘাতে মানুষ ১০-১৫ তলা উচ্চতায় উঠে আবার নিচে পড়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য যেন আধুনিক বিশ্বের সব বর্বরতাকে ছাড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রশ্ন, ‘কোথায় মানবাধিকারের কথা বলছে সংস্থাগুলো? কোথায় মানবিকতা? কোথায় বিবেক?’
ফিলিস্তিনের এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে মুসলমানদের হৃদয়ে ব্যথা, তবে শুধু মুসলিমরা নয়, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষও আজ সমব্যথী। দখলদার ইসরায়েলী বাহিনী তাদের নৃশংসতায় সীমা ছাড়িয়েছে, আর তা দেখে বিশ্বজুড়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, প্রীতি রহমান নামের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব যেন এক হয়ে গাজাকে ধ্বংস করে দিতে চায়, আর মুসলিম দেশগুলো বসে বসে কিছুই করছে না।’
গাজার এই পরিস্থিতি দেখে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে মানবতার সংকট দেখা দিয়েছে। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী, দিপ্তি সাহা লিখেছেন, ‘ইসরায়েল গাজার উপত্যকাকে নিঃশব্দে ধ্বংস করে চলেছে, আর বাকি দেশগুলো নির্লজ্জভাবে তা দেখে যাচ্ছে।’ ভারতের সুইটি কুমারি আবার লিখেছেন, ‘নেতানিয়াহু যদি মানবতা ধারণ করতেন, তাহলে তিনি এমনভাবে নির্দয় মিসাইল হামলা চালাতে পারতেন না।’
এদিকে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫০,৬০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এবং ১,১৫,৬৩ জন আহত। সরকারি মিডিয়া অফিসের দেওয়া তথ্যে, মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এই মর্মান্তিক দৃশ্যের কারণে পুরো বিশ্ব আজ নীরব, কিন্তু গাজার জনগণের জন্য প্রার্থনা ও সমর্থন আরও প্রয়োজন। মানবতার প্রতি এই নৃশংসতা বন্ধ হওয়া উচিত এবং বিশ্বের সকল মানুষের উচিত একে মোকাবিলা করা।