মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা ডেগেরচালা হারিকেন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।দগ্ধরা হলেন- স্থানীয় গার্মেন্টস কর্মী হারিস মিয়া (৫০), তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৪০) ও ছেলে মইনুল ইসলাম (১২)
স্থানীয়রা জানান, হারিস মিয়া ও তার স্ত্রী স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করেন এবং মমতাজের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সকালে তাদের রুমে বিস্ফোরণ হয়। এতে রুমটির দরজা ধসে পড়ে। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় ঘরে থাকা তিনজনই। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হারিস মিয়ার মেয়ের জামাই মো. আসিফ জানান, দু’তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন হারিস মিয়ার পরিবার। একটি রুমে শ্বশুর, শাশুড়ি ও তার শ্যালক থাকতেন। তারা দুজনই স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সকালে সেই রুমে বিস্ফোরণ হয়। এতে রুমটির দরজা জানালা ধ্বসে পড়ে। আগুন ধরে যায় তাদের তিন জনের শরীরে। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, ওই রুমের পাশ দিয়ে তিতাস গ্যাসের লাইন রয়েছে। গ্যাসের পাইপটি মাটির ওপর দিয়া যত্রতত্রভাবে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই লাইন থেকে গ্যাস লিক হয়ে রুমের ভেতর জমে ছিল। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ঢাকা বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, হারিসের শরীরের ৮৮ শতাংশ, আয়েশার ৮০ শতাংশ ও মইনুলের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিন জনকেই ভর্তি রাখা হয়েছে।
গাছা থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে প্রাথমিকভাবে কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি জানা যায়নি। ওই ঘরে কোন সিলিন্ডার কিংবা চুলা নেই। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও অক্ষত। সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলে এসে অধিকতর তদন্ত করলে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।