জুনায়েদ হোসেন ফরহাদ/গাজীপুরঃ
নাম নুসরাত জাহান। তবে সহপাঠীরা তাকে নুসরাত বলেই ডাকে। গাজীপুরের জয়দেবপুরে বাসিন্দা
এই মেয়ে মডেল ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি গাজীপুর থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৪.০০ পেয়ে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে। জিপিএ ৪.০০ থেকে ৪.০০পয়েন্ট পেয়ে আনন্দে আত্মহারা এই তরুণী ও তার পরিবার।
সাফল্যের অবদানের কথা জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, সব থেকে বড় অবদান তার বাবা-মা। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তারা আমার পাশে ছিলেন। এছাড়া তার শিক্ষকরা তাকে সকল প্রকার সহায়তা করেছেন। কিসে তাকে অনুপ্রাণিত করেছে জানতে চাইলে বলেন,
তার মতে, একটা ছেলে যেটা পারে একটা মেয়েও চেষ্টা করলে তা করা সম্ভব। শুধু প্রচেষ্টার প্রয়োজন। তিনি ১ম চান্সেই ডুয়েট এডমিশন পাওয়ার আশাবাদী এবং ভবিষ্যতে গবেষণায় মনোনিবেশ থাকতে চান এই মেধাবী।
এ বিষয়ে মডেল ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির কম্পিউটার বিভাগের প্রধান জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রুবেল মিয়া বলেন,
আমি ৪র্থ পর্ব থেকে ওদের ক্লাস নেওয়া শুরু করি। প্রথম থেকেই লক্ষ করি,ও পড়াশোনায় অন্য সবার চেয়ে ব্যতিক্রম। একটা জিনিস ওর মাথায় খুব তাড়াতাড়ি ধরে।আর পরীক্ষার খাতায় মার্ক কাটার মত কোন জায়গা থাকতো না। ক্লাস টেস্ট, মিড টার্ম থেকে শুরু করে ফাইনাল পরীক্ষায়ও সব উত্তর নির্ভূলভাবে লিখে শেষ করতো সবার আগেই।সেই ৪র্থ পর্ব থেকেই দেখতাম ডুয়েট এর প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ। ডুয়েট এর এডমিশন পড়াশোনা ডিপ্লোমার সিলেবাসের পাশাপাশিও সে পড়তো। সব মিলিয়ে একজন আদর্শ মেধাবী বলতে যা বুঝায় তা আমি ওর মাঝে পেয়েছি।আমার দেখা সেরা মেধাবী দের একজন।
সে আসলেই সেরাদের সেরা
উল্লেখ্য, নুসরাত জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতেও কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ২০১৬-১৭ সেশনে মডেল ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি গাজীপুরে কম্পিউটার বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় থেকে শুরু করে ৮ম সেমিস্টার পর্যন্তই জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট পেয়ে সকলের নজর কারেন তিনি। ৪ বছরে তার সিজিপিএ দাঁড়ায় ৪.০০।