Logo
শিরোনাম:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ২২ নং ওয়ার্ডের গজারিয়া পাড়ায় রাস্তায় মাজে বেড়া। আজ ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী। গাজীপুর মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ। গাজীপুরে শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়েছে গাজীপুরে অবশেষে আটক হলো ৬ মামলার আসামী চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তীব্র তাপদাহে পুরছে দেশ,অতিষ্ঠ জনজীবন। গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঢাকা বনবিভাগের অধিনস্থ রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন। ঢাকায় ফাঁকা বাসায় চুরি চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা ময়মনসিংহ রোটে ট্রাকের নিচে মটর সাইকেল।

চাঁদের পিঠে এলিয়েনদের কারখানা!

লেখক জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী:-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরে করে বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে দেখতে পাই যে, চাঁদের পিঠে এলিয়েনদের কারখানা। বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত, যুক্তরাষ্ট্র একবার নয়, চার বার চাঁদে ভ্রমন করার পরে তারা ১৯৬৯ সালে চাঁদে ভ্রমন স্থগিত ঘোষণা করে। কিন্তু কি কারনে তারা ১৯৬৯ সালে চাঁদে ভ্রমন স্থগিত ঘোষণা করে সে বিষয়ে পরিস্কার করেনি।

১৯৬৯ সালের পরে এ পর্যন্ত তারা চাদে ভ্রমন করে নাই কেন তা এখন তারা বলছে যে, চাঁদে এলিয়েনদের চলাফেরা ও বসবাস থাকতে পারে। সেখানে মানবজাতির জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই, যার কারনে তারা ১৯৬৯ সাল হতে চাঁদে ভ্রমন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে বলে বিশ্বব্যপী চাউর হয়েছে।

বিভিন্ন সময় প্রাপ্ত চাঁদের ছবি চিত্র ও ভিডিওতে দেখা যায় চাঁদের পিঠে ছোট ছোট দোচালা, এক চালা ঘর বাড়ি এলিয়েনদের বলে প্রচার করা হয়েছে। এমনকি এলিয়েনদের ছবি নিয়ে বিশেষ আকার ইঙ্গিতও পাওয়া যায় যে, আসলেই চাঁদের পিঠে এলিয়েনদের বসবাস আছে বলে মনে করা হয়।

এবার একটু ভালো করে চিন্তাভাবনা করে দেখলাম, দেখা যাক উপরে বর্ণিত কথাগুলোকে আমার দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করলে কি দাড়ায়।

আমি প্রথমে বলতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬৯ নয়, কখনই চাঁদে ভ্রমন করে নাই। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখ হতে ২৪ তারিখ পর্যন্ত যা কিছুই ঘটে তার সবই কেবল সাজানো নাটক ছিল। এবং আজ পর্যন্ত চাঁদের পিঠে মানুষের পা পড়ে নাই। ১৯৬৯ সালে যেই সাজানো নাটকটি গোটা বিশ্বের সম্মুখে তুলে ধরা হয়, তা গোটা বিশ্ব পুরোপুরি বিশ্বাস করে।

কিন্তু আমার মতে, ১৯৬৯ সালের মানুষের চেয়ে বর্তমান সময়ের মানুষ অনেক সচেতন, অনেক জ্ঞানের অধিকারী এবং যার কারণে গোটা বিশ্বের জ্ঞানী মানুষ নীল আর্মস্ট্রং এর চাঁদে ভ্রমণের সত্যতা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

তারা দেখতে পায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদে ভ্রমন এটা ছিল ভুয়া, আর যুক্তরাষ্ট্রকে গোটা বিশ্ব হতে অনেক রকমের প্রশ্ন করা হয়েছে চাঁদে ভ্রমন এর ব্যাপারে। যার জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র অনিচ্ছা পোষণ করে। এমন কি রাশিয়ায়ও যুক্তরাষ্ট্রকে চাঁদে ভ্রমন এর ব্যাপারে অনেক বার প্রশ্ন করলেও তার জবাব দিতে পারে নাই যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি গোটা বিশ্বই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রশ্ন করেছে যে, ১৯৬৯ সালের পূর্বে আপনারা চাঁদে বার বার ভ্রমন করেছেন, কিন্তু এরপর প্রযুক্তি এত এগিয়ে গেলেও আর আপনারা চাঁদে ভ্রমন করেননি কেন?

প্রথম বার নতুন যে কোন জায়গাতেই যেতে অনেক বেশী ব্যয় ও সংকট তৈরী হয় এবং পরে ঐ জায়গাতে যেতে আস্তে আস্তে মনের ভয়ও চলে যায়। এমন কি পরে সে স্থানে যেতে খরচও কমে যায়। তো তারা এতো কষ্টের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে কিন্তু পরে আর কখনোই
কেন তারা চাঁদে ভ্রমনের নাম পর্যন্ত মুখে নেয়নি সে প্রশ্ন কিন্তু ওঠেই। বরং এটি গোটা বিশ্ব বাসীর প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি।

উপরে বর্ণিত প্রশ্নগুলার সম্মুখীন হবার পরে তারা কোন রকম সদুত্তর দিতে না পেরে এখন উপস্থিত বাটপারির মাধ্যমেই কেবল এলিয়েন নামের এই প্রোগ্রামটি তৈরি করে নিয়েছে এবং এখন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাসীকে বলতে চাইছে যে, তারা ১৯৬৯ সালের শেষ ভ্রমনেই নিজের চোখে এলিয়েনদের চাঁদের পিঠে দেখে এসেছেন। আর এলিয়েনদের সামনে মানুষের কোন রকম জীবনের নিরাপত্তা নাই বলেই তারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য চাঁদে ভ্রমন স্থগিত ঘোষণা করেন।

যুক্তরাষ্ট্র নিজেও জানে যে, আজো চাঁদে কোন দেশের মানুষ পা রাখতে পারে নাই, তাই যার উপরে নির্ভর করে তারা ভাবছে যে, এ পর্যন্ত বিশেষ করে কোন মানুষ চাঁদে যেতে পারে নাই। তাই আমরা যা কিছু বলি না কেন, সেটাই গোটা বিশ্ব বিশ্বাস করবে। এবং এ রকম চাঁদে ভ্রমণ নামের নাটকটি গোটা বিশ্ব বাসীকে উপহারের নামে ধোকা দিয়েছিল এবং তেমনি ভাবেই কেবল এবারো চাঁদের পিঠে এলিয়েনদের কারখানা এই মিথ্যা বানানো প্রোগ্রাম দিয়ে বিশ্বের সকল মানুষের ব্রেণওয়াশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে এই চাঁদের পিঠে এলিয়েনদের কারখানা এটা যে আসলেই ভুয়া ও মিথ্যা তার পক্ষে আমার ব্যক্তিগত অনুধাবন- চাঁদের পিঠে এলিয়েনদের ঘর বাড়ি যে রকম দেখতে পেলাম, সেগুলো অনুন্নত আফ্রিকা মহাদেশের মালাওয়ে জাম্বিয়ার উপজাতিদের ঘর বাড়ির মতোই হুবুহু দেখতে এবং এলিয়েনরা যদি এতোই গরিব হয়ে থাকে তাহলে তাদের মন মানসিকতাও তো গরিব হবার কথা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণনা অনুসারে বোঝা যায়, এলিয়েনরা অনেক বিচক্ষণ অনেক জ্ঞানের অধিকারী। আপনারা দেখে থাকবেন, আমাদের বিশ্বে যে সকল দেশের মানুষ অনেক চালাক অথবা অনেক জ্ঞানের অধিকারী তারাই কেবল বিজ্ঞান প্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে আছে আর তারাই ধনী। যদি এলিয়েনরা বুদ্ধিসম্পন্ন হয় তাহলে তো তাদের অনেক ধনী হবার কথা, কিন্তু এলিয়েনদের ঘরবাড়ি দেখলে মনে হয় যেঁ এলিয়েনরা গরীব ও ঝুপড়ির মত ঘরে থাকে। আর যারা ছোট ঝুপড়িতে থাকে তারা কিভাবে আমাদের পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে আমার মাথায় ধরেনা।

বি: দ্র: এই লেখার বিষয়বস্তুর সাথে সময়ের কণ্ঠস্বরের সম্পাদকীয় নীতিমালার কোন সম্পর্ক নেই। এই লেখা লেখকের নিজস্ব মত। এই লেখার প্রভাবে কেউ প্রভাবিত হলে তার দায়ভার মাতৃবাংলা ২৪ টিভি বহন করবে না।

সহ-প্রকাশক,

এস এ আশিক

মাতৃবাংলা ২৪ টিভি

আপডেট নিউজ পেতে,

পেইজ:- মাতৃবাংলা ২৪ টিভি

ওয়েবসাইট:- matribangla.com

ইউটিউব চ্যানেল:- মাতৃবাংলা ২৪ টিভি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost
error: এই সাইটের নিউজ কপি করা বেআইনী !!