Logo
শিরোনাম:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ২২ নং ওয়ার্ডের গজারিয়া পাড়ায় রাস্তায় মাজে বেড়া। আজ ৭ মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০ম শাহাদাৎ বার্ষিকী। গাজীপুর মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ। গাজীপুরে শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়েছে গাজীপুরে অবশেষে আটক হলো ৬ মামলার আসামী চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তীব্র তাপদাহে পুরছে দেশ,অতিষ্ঠ জনজীবন। গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঢাকা বনবিভাগের অধিনস্থ রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন। ঢাকায় ফাঁকা বাসায় চুরি চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা ময়মনসিংহ রোটে ট্রাকের নিচে মটর সাইকেল।

গাজীপুরের শ্রীপুর ডাকাতিকালে পুলিশ সদস্যদের নৃশংসভাবে কুপানো ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার।

মাতৃবাংলা নিজস্ব পতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর ডাকাতিকালে পুলিশ সদস্যদেরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করা ডাকাতদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইসমাইল সরদার ও লিটন (৩৮) মোঃ কামরুল মিয়া (২০)  মোঃ হানিফ ওরফে মাস্টার (৩০)

ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির সময় টহলরত পুলিশ সদস্যদের দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ডাকাত দলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনার তাদের সম্পৃক্ততা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র। এই দলের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন। গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল এ ডাকাত চক্রটির প্রধান এবং হানিফ তার অন্যতম সহযোগী। তারা রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি ও দোকানে ডাকাতি করে আসছিল। এছাড়া ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদীতে বিভিন্ন বালুর বলগেটে ডাকাতি করতো। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন মামলায় কারাভোগের সময় কারাগারে থাকা অন্যান্য আন্তঃজেলা ডাকাতদের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয় এবং সেখানে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল শিখে নিতো। পরবর্তীতে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে কারাগারে থাকা ডাকাতদের কাছ থেকে রপ্তকৃত কৌশল ব্যবহার করে ডাকাতি করতো বলে জানা যায়।”

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল ১০-১২ বছর ধরে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির মালামাল রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটে সরবরাহ করতো। সে ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জ এলাকার এক ডাকাত সদস্যের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে ঐ মার্কেটে কেমিক্যাল সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি করতো। একপর্যায়ে নিজেই একটি ডাকাত চক্র গড়ে তোলার জন্য কেমিক্যাল সরবরাহের কাজ ছেড়ে দেয়। এসময় সে ডাকাতির কার্যক্রমে সুবিধার জন্য ছদ্মবেশে ইজিবাইক চালানো শুরু করে।”

কমান্ডার মঈন জানান, তার বিরুদ্ধে ঢাকার দোহার, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ডাকাতি সংক্রান্ত ৪টি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় সে এক বছরের বেশি কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। তার নেতৃত্বে ২০২৩ সালে ফরিদপুরে বেশকয়েকটি স্বর্ণের দোকান ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং সে এই মামলায় ৭ মাস কারাভোগ করে গত মাসে জামিনে বের হয়ে পুনরায় ডাকাতি শুরু করে।” তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত হানিফ ওরফে মাস্টার গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইলের সঙ্গে একই এলাকায় বসবাস করতো। তিনি ২০১১ সালে ডাকাতির কাজে জড়িত হয় বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইলের অন্যতম সহযোগী হানিফ ডাকাতির বিভিন্ন স্থান নির্ধারণ, কৌশল ও পরিকল্পনা করতেন। ডাকাতির পরিকল্পনায় তিনি সিদ্ধহস্ত বলে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সবাই তাকে মাস্টার বলে ডাকতো। হানিফ ২০১৩ সালে হত্যা মামলায় ২ বছরের বেশি সময় কারাভোগ করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় কারাভোগ করেছেন।

কমান্ডার মঈন বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ডাকাত দলের একজন অন্যতম সদস্য। ইসমাইলের সঙ্গে ৩-৪ বছর আগে রাজধানীর জিনজিরা এলাকায় ভাড়া থাকার সময় পরিচয় সূত্রে সে ইসমাইলের ডাকাতি চক্রে যোগ দেয়। ডাকাতি কার্যক্রমকে আড়াল করতে সে দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। সে গাজীপুর এলাকায় ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল এবং হানিফকে আগাম তথ্য দিতো। এজন্য সে গাজীপুর এলাকায় ডাকাতির পূর্বে পরিকল্পনা করার জন্য বিভিন্ন সময় গাজীপুর থেকে জিনজিরায় ইসমাইল ও হানিফের কাছে আসতো এবং পুনরায় গাজীপুরে ফিরে গিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক ডাকাতিতে অংশ নিতো


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost
error: এই সাইটের নিউজ কপি করা বেআইনী !!