রাজু আহমেদ, গাজীপুর।
মোঃ রফিকুল ইসলাম ইকবাল,মাতা জাহানারা বেগম, পিতা- মোঃ আব্দুল গফুর খান, ভোগড়া, পোঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থানা বাসন গাজীপুর, মোঃ রফিকুল ইসলাম ইকবাল
গাজীপুর বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে হাজির হইয়া মূল বিবাদী
গাজীপুরের পিরুজালী, সদর থানা পিতা- মোঃ আব্দুল গফুর খান ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম খানের নামে জাল জলিলের প্রতারণার মামলা করেন।
জেলা রেজিষ্ট্রার, জয়দেবপুর, গাজীপুর।
মোকাবেলা বিবাদী দলিল অকার্যকর মর্মে ঘোষণা সহ স্বত্ব সাব্যস্থক্রমে খাস দখলের
মোকদ্দমার তায়দাদ মং- ৩৩,৪১,৫০০/- (তেত্রিশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা বাদী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
যেহেতু জেলা গাজীপুর, থানা- বাসন মেট্রো, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, মৌজা- ভোগড়া স্থিত এস.এ ২১২ ও ১৬৬, আর.এস ৪০৮ ও ২৩ নং খতিয়ান ভুক্ত সাবেক ১১৯১ আর.এস ১৬৫৪ দাগে ১.৪২৫ শথাংশ সম্পত্তি ও সাবেক ১১৯২ আর.এস ১৬৫৫ দাগে ৬ শতাংশ। উক্ত ২টি দাগের কাতে ৭০ বা ৭.৪২৫ শতাংশ নালিশী সম্পত্তি এবং উক্ত নালিশী সম্পত্তিতে যোগসাজসী ভাবে সৃজিত বিগত ১১/০৩/২০০৮ ইং তারিখের সাফ কবলা ৬২০৯ নং দলিলটি নালিশী দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে ঘটে
হতু এস.এ ১৬৬. আর.এস২৩ নং খতিয়ানে ৮ ২। যেহেতু আনা হিস্যায় আমির উদ্দিন মুন্সি ৩২.৫০ শতাংশ সম্পত্তিতে এবং এস.এ ২১২ আর.এস ৪০৮ খতিয়ানে ৬ আনা ৫ গন্ডা হিস্যায় আমির উদ্দিন ও আমির উদ্দিন মুন্সি ২৬৮.৩৫ শতাংশ সম্পত্তি অর্থাৎ ২টি খতিয়ানে মোট ৩০০.৮৫ শতাংশ সম্পত্তিতে মালিক ও ভোগ দখল প্রাপ্ত হয়। উক্ত রেকর্ডীয় মালিক আমির উদ্দিন নালিশী দাগ খতিয়ান ভুক্ত ৩০০.৮৫ শতাংশ সম্পত্তি আরো বহু সম্পত্তিতে স্বত্ব দখলে থাকাবস্থায় ৪ পুত্র যথাক্রমে- (১) মোঃ আফছার উদ্দিন (২) মোঃ আপ্তাবদ্দিন (৩) মোঃ জালাল উদ্দিন ও (৪) মো মোন্তাজ উদ্দিনকে ওয়ারিশ রাখিয়া মৃত্যু বরন করিলে তাহারা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হইয়া নালিশী দাগ খতিয়ান সহ অন্যান্য যাবতীয় সম্পত্তি নিজেদের ভোগ দখলের সুবিধার্থে একটি আপোষ বন্টন নামা দলিল সম্পাদন রেজিষ্ট্রি।
করেন দলিল নং-যাহার ৭০৮০. তাং-
২৪/০৬/১৯৮৭ ইং সন। যেহেতু উক্ত ৭০৮০ নং বণ্টননামা দলিলের ৩য় পক্ষ হিসাবে মোঃ জালাল উদ্দিন ৩২৮.৫০ সম্পত্তিতে স্বত্ব দখল প্রাপ্ত হয় এবং উক্ত ৩২৮.৫০ শতাংশ এর মধ্যে নালিশী সাবেক ১১৯১ দাগে ১৯ শতাংশ এবং সাবেক ১১৯২ নং দাগ হইতে ১৪.৫০ শতাংশ সম্পত্তি মোঃ জালাল উদ্দিন প্রাপ্ত হন। উল্লেখ্য যে, নালিশী সম্পত্তির খতিয়ান ও দাগ নম্বর ভিন্ন হইলেও (১৯+১৪.৫০) সম্পত্তি একই চৌহদ্দি ভুক্ত সম্পত্তি বটে। – ৩৩.৫০ শতাংশ যেহেতু অন্যান্য সম্পত্তির সাথে মোঃ জালাল উদ্দিন উক্ত ৩৩.৫০ শতাংশ সম্পত্তি মালিকানা প্রাপ্ত হইয়া নিজ নামে ২৪২৮৪/০৭-০৮ নং নামজারী ও জমাভাগ করিয়া সন সন খাজনা প্রদান করিয়া উক্ত সম্পত্তিতে বাড়ীঘর নির্মান করিয়া, কিছু অংশে টিন সেড বিল্ডিং করিয়া, কিছু অংশে গাছ পালা রোপন করিয়া।
শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে বিদ্যমান থাকেন। উল্লেখ্য যে, নালিশী সাবেক ১১৯১ আর.এস ১৬৫৪ নং দাগে প্রাপ্ত ১৯ শতাংশ সম্পত্তি বিল্ডিং নির্মান করিয়া কিছু অংশে টিনসেড বাসা বাড়ী করে ভাড়া দিয়ে সম্পূর্ণ ১৯ শতাংশ সম্পত্তিতে বাদীপক্ষের পিতা মোঃ জালাল উদ্দিন ভোগ দখলে রহিয়াছেন এবং সাবেক ১১৯২ আর.এস ১৬৬৫ দাগের ১৪.৫০ শতাংশ সম্পত্তির কিছু অংশে গাছ পালা রোপন করিয়া ৮ শতাংশ সম্পত্তিতে ১ তলা ভবন সহ টিনসেড গোডাউন নির্মান করিয়া ১ নং বিবাদীর নিকট বিগত ২০০৭ ইং সন হইতে ভাড়া দিয়া, অবশিষ্ট অংশে বাড়ীর আঙ্গিনা হিসাবে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় মোঃ জালাল উদ্দিন বিগত ০৭/০৫/২০১৯ ইং তারিখে ১ স্ত্রী ২ পুত্র ১ কন্যা কে ওয়ারিশ রাখিয়া মৃত্যু বরন করিলে বাদীপক্ষ ওয়ারিশ সূত্রে মোঃ জালাল উদ্দিনের যাবতীয় সম্পত্তির মালিকানা ও ভোগ দখল প্রাপ্ত হয়।
যেহেতু পর পরবর্তী সময়ে মৃত জালাল উদ্দিন এর স্ত্রী মোসাঃ রোকেয়া বেগম বিগত ০৩/০৮/২০২১ ইং তারিখে মৃত্যু বরন করিলে পিতা ও মাতার যাবতীয় সম্পত্তি সহ নালিশী সম্পত্তিতে ২ পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম ইকবাল ও মোঃ কামাল হোসেন এবং ১ কন্যা মোসাঃ জাহানারা বেগম তথা বাদীপক্ষ মালিকানা ও ভোগ দখল প্রাপ্ত হয়ে পৈত্রিক বসত বাড়ী সহ আরো ঘর বাড়ী নির্মান করিয়া খাজনা পরিশোধ করিয়া ভোগ দখল সহ শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছে। যাহা এলাকার সর্বস্থরের লোকজন অবগত আছেন। ইহা ছাড়াও বাদীপক্ষ বিগত ২০০৯ ইং সনে নালিশী দাগের সম্পত্তিতে গ্যাস সংযোগ নিয়া নিয়মিত বিল পরিশোধ করিয়া শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে বিদ্যমান রহিয়াছে।
যেহেতু বাদীপক্ষের পিতা মোঃ জালাল উদ্দিন নালিশী সম্পত্তিতে পরিবার নিয়া বসবাস করার পাশাপাশি ভাড়াটিয়াদের নিকট ভাড়া প্রদান করিয়াছে বিধায়।
বিগত ২০০৭ সন হইতে ১ নং বিবাদীর নিকট আর.এস ১৬৫৫ দাগের ৮ শতাংশ সম্পত্তিতে নির্মিত ১ তলা ভবন সহ টিনসেড গোডাউনটি ভাড়া দিলে ১ নং বিবাদীও একজন ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করিয়া আসিতেছে। ১ নং বিবাদী ২০০৭ সন হইতে ২০১৯ ইং সন পর্যন্ত বাদী পক্ষের পিতার নিকট এবং ২০১৯ ইং সন হইতে আগষ্ট/২০২৪ ইং সন পর্যন্ত বাদীপক্ষের নিকট নিয়মিত ভাড়া প্রদান করিলেও আগষ্ট/২০২৪ থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ভাড়া প্রদানে বিরত থাকে।
যেহেতু বিবাদী বহু পুরানো ভাড়াটিয়া এবং বাদীপক্ষের পিতার দূর সম্পর্কের ভাগিনা হওয়ায়। সকলের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকায় বকেয়া ভাড়া চাহিয়া বাদীপক্ষ বিবাদীকে তাগাদা দিলে বিবাদীর আর্থিক সমস্যা আছে বলিয়া জানায়। পরবর্তী সময়ে ভাড়ার জন্য বাদীপক্ষ বিবাদীকে বার বার তাগাদা দিয়া ব্যর্থ হইয়া ১ মাস সময় দিয়ে বাদীপক্ষ বলে যে।
৩০ দিনের মধ্যে ভাড়া না দিলে গোডাউনে তালা মারিয়া ১ নং বিবাদীকে বাহির করিয়া দিবে। অতঃপর বিগত ১২/১২/২০২৪ তারিখে বাদীপক্ষ গোডাউনে তালা মারিয়া ১ নং বিবাদীকে বাহির করিয়া দেয়। পরবর্তী সময়ে ১ নং বিবাদী বিগত ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখে ভাড়া করা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির গোন্ডা সহ দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র সন্ত্র নিয়ে নালিশী সাবেক ১১৯২ আর.এস ১৬৫৫ দাগের ৮ শতাংশ সম্পত্তিতে থাকা ১ তলা ভবন সহ টিনসেড গোডাউনে জোর পূর্বক প্রবেশ করিয়া বিল্ডিং নির্মানের জন্য গোডাউন ভেঙ্গে ৬ শতাংশ সম্পত্তি জবর দখল করিয়া উক্ত সম্পত্তিতে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে। সহজ, সরল শান্তিপ্রিয় বাদীপক্ষ বাধা প্রদান করিয়া কারন জিজ্ঞাসা করিতে গেলে ভূমি দস্যু ১ নং বিবাদী বাদীপক্ষকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বলে যে, “এই জমি আমার। আমি তোদের পিতার নিকট হইতে সাবেক ১১৯১ দাগে ১.৪২৫ শতাংশ।
সাবেক ১১৯২ নং দাগে ৬ শতাংশ মোট ৭.৪২৫ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করিয়াছি। তোরা এই জমিতে আসলে খুন করিয়া ফেলিব।” হঠাৎ করে ১ নং বিবাদীর মুখে এই কথা শুনিয়া বাদীপক্ষ এমন ভাবে হতভম্ব হইয়া পড়ে যেন বাদীপক্ষের উপর আকাশ ভাঙ্গিয়া পরিয়াছে।
যেহেতু বাদীপক্ষ পৈত্রিক তথা নালিশী দাগের সম্পত্তি হইতে বেদখল হইয়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় ১ নং বিবাদীর নিকট জানিতে চাহে যে, জমি ক্রয়ের বিষয়ে মোঃ জালাল উদ্দিন জীবিত থাকতে তাহার কাছে কেন প্রকাশ করিয়া জমি দাবী করেনি ও বিবাদী কেন জালাল উদ্দিন মৃত্যুর পরও বাদীপক্ষকে আগষ্ট/২০২৪ সন পর্যন্ত ভাড়া প্রদান করিয়াছে এবং নালিশী আর.এস ১৬৫৪ দাগের ৮৩ শতাংশ এর কাতে ১৯ শতাংশ সম্পত্তির নালিশী তথা অবশিষ্ট ১.৪২৫ শতাংশ সম্পত্তি সহ সম্পূর্ণ সম্পত্তিতে কিছুদিন পূর্বে বাদীপক্ষ বাড়ী নির্মান।
করিলে মালিকানা দাবী করিয়া ১ নং বিবাদী কেন বাধা দিল না বা কেন কোন আইনের আশ্রয় নিল না। ইহা ছাড়াও বাদীপক্ষ ২০০৯ সালে গ্যাস সংযোগ নেওয়ার সময় ১ নং বিবাদী কেন বাধা দিয়ে বলে নাই যে, “এই সম্পত্তি আমার। বাদীপক্ষ কি ভাবে গ্যাস সংযোগ পায়”। গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাহাকে এমন সব প্রশ্ন করিলে ১ নং বিবাদী কোন সদোত্তর প্রদান করিতে না পারিয়া বলে যে, আমার কাছে দলিল আছে। তোমরা তল্লাশী দিয়া যাচাই কর। পরবর্তী সময়ে নালিশী সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য বাদীপক্ষ বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের ও প্রতিষ্ঠানের নিকট চেষ্টা তদ্বীর করিয়া বহু সময় ও অর্থ ব্যায় করিয়া ব্যর্থ হইয়া বিজ্ঞ আইনজীবী সাহেবের পরামর্শে দলিল তল্লাশী দিয়া বিগত ১০/০৪/২০২৫ ইং তারিখে নালিশী দলিলের সছি মুহয়ী নফল হাতে পাইয়া নালিশী দলিল সম্পর্কে বাদীপক্ষ সর্ব প্রথম অবগত হয়। যাহার সাফ।
কবলা দলিল নং- ৬২০৯, তাং- ১১/৩/২০০৮ ইং সন। যেহেতু বাদীপক্ষ রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশ হিসাবে যুগ যুগ ধরিয়া বিগত ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত নালিশী আর.এস ১৬৫৫ দাগের ৮ শতাংশ সম্পত্তি সহ যাবতীয় সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে থাকাস্বত্বেও ১ নং বিবাদী যোগসাজস করিয়া বে-আইনী ভাবে নালিশী দলিলটি সৃজন করিয়া দীর্ঘদিন গোপন রাখিয়াছে বিধায় বাদীপক্ষ কথিত দলিল সম্পর্কে বিগত ১০/০৪/২০২৫ ইং তারিখের পূর্বে জানিতে পারে নাই। যেহেতু বাদীপক্ষের পিতা মোঃ জালাল উদ্দিন মুলির স্বাক্ষরে বিগত ২৪/০৬/১৯৮৭ ইং তারিখে ৭০৮০ নং বণ্টন নামা দলিল রেজিস্ট্রি হইয়াছে এবং তাহার জাতীয় পরিচয় পত্রে নিজের স্বাক্ষর রহিয়াছে বিধায় বাদী পক্ষের বিশ্বাস উক্ত স্বাক্ষর গুলোর সাথে নালিশী দলিলের স্বাক্ষর ভিন্ন হইবে। কারন বাদীপক্ষ শতভাগ।
নিশ্চিত কথিত নালিশী দলিলটি মোঃ জালাল উদ্দিন মুন্সি আদৌ সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করিয়া দেন নাই। দিলে অবশ্যই তিনি বাদীপক্ষের নিকট তাহা প্রকাশ করিতেন এবং তাহার পরিবারের কেউ না কেউ দলিলে সাক্ষী থাকিতেন। ইহা ছাড়া ১ নং বিবাদী নালিশী সম্পত্তিতে বিগত ১১/০৩/২০০৮ ইং সনে কথিত দলিলে বৈধ মালিক হইলে আগষ্ট/২০২৪ সন পর্যন্ত বাদীপক্ষকে ভাড়া প্রদান করিত না এবং মোঃ জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর খাদীপক্ষ নালিশী সাবেক ১১৯১ আর.এস ১৬৫৪ নং দাগের অবশিষ্ট সবটুকু জমিতে বিল্ডিং নির্মানের কাজ করার সময়ই ১ শতাংশ সম্পত্তির জন্য ১ নং বিবাদী বাধা প্রদান করিত। ইহাছাড়াও নালিশী দলিলে জালাল উদ্দিনের জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার নাই। ১ নং বিবাদী তাহা সংগ্রহ করিতে পারে নাই বিধায় জালাল উদ্দিনের বয়স তখন ৬৫ বছর হইলেও দলিলে ৭০ বছর ১৭।
পিপি ন্ধ হয় এই রকম বহু আসামঞ্জস্যতা অত্র দলিলে দ্যিমান যেহেতু নাটীশী সম্পত্তিতে বাদীপক্ষ যুগ যুগ ধরিয়া মালিকানা ও ন্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ১ নং বিবাদী পথ ভূয়া ও যোগসাজসী তথা কথিত নালিশী ৬২০৯ নং দলিল সৃষ্টি করিয়া পরবর্তী সময়ে বি সম্পত্তি হইতে বাদীপক্ষকে বেদখল করায় নালিশী সম্পত্তিতে বাদীপক্ষের স্বত্ব মালিকানা ও দখলে কালিমা লেপন হইয়াছে বিধায় নালিশী দলিলটি অকার্যকর মর্মে ঘোষনা সহ স্বত্ব সাব্যস্তক্রমে খাসদখলের জন্য বাদীপক্ষ সর্বশেষ বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হইলেন। উল্লেখ্য যে, বাদীপক্ষ ইতিপূর্বে নালিশী ৬২০৯ নং দলিলটি বিবাদীপক্ষ গোপন রাখায় উহা সম্পর্কে অবগত ছিল না। অবগত থাকলে অবশ্যই বাদীপক্ষ আগেই বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিত।
যেহেতু মোকদ্দমার কারন বিগত ১১/০৩/২০০৮ ইং তারিখে নালিশী ৬২০৯ নং সাফ কবলা দলিলটি যোগসাজসী ভাবে সৃষ্টির তারিখ হইতে সর্ব সময় নিয়ত। তবে মোকদ্দমার প্রথম কারন উদ্ভব হয় বিগত ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখে যখন ১ নং বিবাদীপক্ষ নালিশী সম্পত্তির মালিকানা দাবী করিয়া বাদীপক্ষের নালিশী সম্পত্তি জবর দখল করে। মোকদ্দমার দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত কারন উদ্ভব হয় বিগত ১০/০৪/২০২৫ ইং তারিখে যখন বাদীপক্ষ নালিশী ৬২০৯ নং দলিলের সই মোহরী নকল হাতে পায় তখন হইতে অদ্যাবধি বিদ্যমান। যাহা গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় ভোগড়া মৌজায় তথা বিজ্ঞ আদালতের এখতিযারাধীন ও বিচারাধীন।
যেহেতু ইহা একটি দলিল অকার্যকর মর্মে ঘোষনা সহ স্বত্ব সাব্যস্থক্রমে খাস দখলের মোকদ্দমা এবং নালিশী সম্পত্তির প্রতি ১ শতাংশ সম্পত্তির আনুমানিক বাজার মূল্য ৪,৫০,০০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা তাংশ সম্পত্তির মোট মূল্য (৭.৪২৫× দরে ৭.৪২৫ শতাং ৪,৫০, ,০০০) – ৩৩,৪১,২৫০/-টাকা বিধায় মোকদ্দমার তায়দাদ মং- ৩৩,৪১,৫০০/- (তেত্রিশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা ধার্য্য করিয়া অত্র মোকদ্দমাটি বিজ্ঞ আদালতে আনয়ন করা হইল।
যেহেতু ইহা একটি দলিল অকার্যকর মর্মে ঘোষনা সহ স্বত্ব সাব্যছক্রমে খাস দখলের মোকদ্দমা বিধায় ৩৩,৪১,৫০০/- (তেত্রিশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা তায়দাদ মূল্যের উপর সর্ব্বোচ্চ কোর্ট ফি ৪৬,০০০/- (ছেচল্লিশ হাজার) টাকা দাখিল করিয়া অত্র মোকদ্দমাটি বিজ্ঞ আদারতে আনয়ন করা হইল।
(খ) তফসিল ভুক্ত নালিশী সম্পত্তির উপর সৃজিত বিগত ১১/০৩/২০০৮ ইং তারিখের নালিশী ৬২০৯ নং সাফ কবলা দলিলটি ভুয়া, যোগসাজসী ও জালজালিয়াতিপূর্ণ বিধায় বাদীপক্ষের উপর বাধ্যকর নয় ও অকার্যকর মর্মে ঘোষনা মূলক ডিক্রী দিতে: (গ) নালিশী সাবেক ১১৯২ আর.এস ১৬৫৫ নং দাগের কাতে ৬ শতাংশ সম্পত্তি হইতে সকল প্রকার বাধা অপসারন পূর্বক নালিশী সম্পত্তির খাস দখল বাদীপক্ষের বরাবরে প্রদানের ডিক্রী দিতে (ঘ) বাদীপক্ষে ও ১ নং বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে সম্যক আদালত ব্যয় ডিক্রী দিতে
(ঙ) আইন ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীপক্ষ আরো যে যে প্রতিকার পাইতে হকদার তাহার রায় ও ডিক্রী দিতে মর্জি হয়।
তফসিল জেলা- গাজীপুর, থানা ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিস বাসন মেট্রো (গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন), বাদীপক্ষ, পূর্বে- বাদীপক্ষ এবং পশ্চিমে- আব্দুল মতিন। এই চৌহদ্দির মধ্যে সম্পত্তিতে সৃজিত নালিশী সাফ কবলা দলিল নং- ৬২০৯, তাং- ১১/০৩/২০০৮ ইং সন। যাহার সাব রেজিষ্ট্রি অফিস জয়দেবপুর, গাজীপুর, বুক নং- ১, ভলিয়ম নং- ২২৫. পৃষ্ঠা নং- ২২৫-২৩৫ এবং নালিশী ৭.৪২৫ সম্পত্তির কাতে আর.এস ১৬৫৫ নংদাগের কাতে ১ নং বিবাদী কর্তৃক জবর দখলকৃত নালিশী ৬ শতাংশ সম্পত্তি। যাহার উত্তরে- বাদীপক্ষ, দক্ষিনে- বাদীপক্ষ, পূর্বে- বাদীপক্ষ, পশ্চিমে- আব্দুল মতিন অবস্থিত। সত্যপাঠ উপরোক্ত যাবতীয় বিবরন আমার জ্ঞান ও জানামতে সত্য ও সঠিক জানিয়া অদ্য ইং তারিখে অত্র সত্যপাঠে নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম।