স্টাফ রিপোর্টার: শাকিল শেখ।
শ্রীপুরে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলায় শ্বশুর ও দেবরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুত্রবধূ সিলা আক্তারের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মাওনা ইউনিয়নের নিজমাওনা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন—উপজেলার নিজমাওনা গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে- (২ আসামি) জানে আলম (৫০) এবং তার ছোট (৪ আসামি) ছেলে রফিক (২৬)।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, সাত মাস আগে জানে আলমের বড় ছেলে শফিক (৩০)-এর সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলার খাসবরের বয়ড়া গ্রামের মৃত আ. সামাদের মেয়ে শীলা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষকে নগদ দুই লাখ টাকা, ফার্নিচার ও চার লাখ টাকার স্বর্ণালংকার দিতে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক পর্যায়ে সিলাকে মারধর করে বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে শীলার বড় ভাই মোছা শেখ শ্রীপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ১৮ এপ্রিল শীলা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়—শফিক, তার বাবা জানে আলম, মা সুফিয়া (৪৫) এবং ছোট ভাই রফিক। এর মধ্যে জানে আলম ও রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, শফিক ও রফিক এলাকার দুর্নামধারী মানুষ এবং মাদকসেবী হিসেবেই পরিচিত। এবং মাদক ব্যবসায়ি। শফিক একাধিকবার বিয়ে করেছেন এবং আগের স্ত্রীদেরও যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেন। বর্তমান স্ত্রী শীলার সঙ্গেও তার আচরণ ছিল বর্বরোচিত।
নিজ মাওনা এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, “একদিন আমার সামনেই শফিক তার স্ত্রীকে মারধর করে। শ্বশুর জানে আলম আর ভাই রফিক মিলে চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে, যা আমাদের চোখের সামনে ঘটে।”
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।”